• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

রাসূলুল্লাহ (সা.) আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে যা বলেছেন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

আরবি হিজরি সনের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখকে আশুরা বলা হয়। ইসলামের ইতিহাসে আশুরা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়। আশুরা শব্দের উৎপত্তি আরবি আশারা থেকে। এর অর্থ হচ্ছে ১০।

আশুরা একটি বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ দিন। এ ঘটনার বিবরণে ইমাম বুখারি (রহ.) বিখ্যাত সাহাবি হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিজরত করে মদিনায় পৌঁছে মদিনার ইহুদিদের আশুরার দিনে রোজা পালন করতে দেখেন।

রাসূলুল্লাহ (সা.) তাদের জিজ্ঞেস করেন, এ দিনে কী ঘটেছে যে তোমরা এতে রোজা পালন করো? তারা বলে, এই দিনটি মহান দিন, এ দিনে মহান আল্লাহ মুসা (আ.) ও তার সঙ্গীদের ফিরাউন থেকে মুক্ত করেছিলেন এবং ফিরাউন ও তার বাহিনীকে ডুবিয়ে মেরেছিলেন। এর কৃতজ্ঞতাস্বরূপ মুসা (আ.) রোজা রাখতেন, তাই আমরাও আশুরার রোজা পালন করে থাকি। ইহুদিদের জবাব শুনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মুসা (আ.) এর কৃতজ্ঞতার অনুসরণে আমরা তাদের চেয়ে বেশি যত্নশীল হওয়ার অধিকারী। অতঃপর তিনি নিজেও আশুরার রোজা রাখেন এবং মুসলমানদের তা পালন করতে নির্দেশ প্রদান করেন। (বুখারি: ৩৩৯৭; মুসলিম: ১১৩৯)

রাসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ রোজা নিজে পালন করেছেন এবং উম্মতকে রাখার প্রতি নির্দেশ করেছেন, তাই তার অনুসরণ করা আমাদের জন্য আবশ্যক।

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আশুরার দিনে রোজা রাখেন এবং অন্যদেরও রোজা রাখার নির্দেশ দেন, তখন সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! বিধর্মীরা তো এই দিনটিকে মহান দিন মনে করে। এই দিনে তারাও রোজা পালন করে। আমরা যদি এই দিনে রোজা রাখি তাহলে তো এদের সঙ্গে সামঞ্জস্য হবে। তাদের প্রশ্নের জবাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তারা যেহেতু এদিন একটি রোজা পালন করে, আগামী বছর ১০ তারিখের সঙ্গে ৯ তারিখ মিলিয়ে ২ দিন রোজা পালন করব, ইনশাআল্লাহ! (মুসলিম: ১১৩৪)

আরেক বর্ণনায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা আশুরার দিনে রোজা রাখো, তবে এ ক্ষেত্রে ইহুদিদের সঙ্গে মিল না হওয়ার জন্য ১০ তারিখের আগের দিন অথবা পরের দিন আরো একটি রোজা রেখে নিও। (মুসনাদে আহমদ: ২১৫৪)

উপরোক্ত হাদিসের আলোকে প্রমাণিত হয় যে, আশুরার রোজা ২টি রাখতে হবে। মহররমের ১০ তারিখ একটি- আর এর আগে ৯ তারিখ অথবা পরে ১১ তারিখ আরো একটি।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘রমজান মাসের রোজার পর সর্বোত্তম রোজা মহররম মাসে আশুরার রোজা’। (সুনানে কুবরা: ৮৪২১০)

হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আশুরার রোজার ফজিলত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই রোজা বিগত বছরের গুনাহ মুছে দেয়’। (মুসলিম: ১১৬২)

হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.)-কে আশুরার রোজা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমার জানা মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যান্য দিবসের রোজার তুলনায় আশুরার রোজার ফজিলত লাভের জন্য বেশি উদগ্রীব থাকতেন। তেমনি অন্য মাসের তুলনায় রমজান মাসের রোজার ব্যাপারেও। (মুসলিম: ১১৩২)

Place your advertisement here
Place your advertisement here