• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

২০৪১ সালের আগেই স্মার্ট হবে বাংলাদেশ: কৃষিমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা রূপকল্প ২০২১ সালে যে ডেল্টা প্ল্যান প্রণয়ন  করা হয়েছে তা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশ হবে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত,সুখী, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ।

শনিবার স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের ওপর দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, একটা সদ্য স্বাধীন দেশকে বঙ্গবন্ধু যখন গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি নৃশংসভাবে তাকে স্বপরিবারে হত্যা করে। তার পরবর্তী সময়ে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়, যা ছিল ঘৃণ্য-জঘণ্য হত্যাকাণ্ড। এমন নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড পৃথিবীতে আর হয়েছে কিনা জানি না। যদিও তাদের অনেকের শাস্তি হয়েছে, ফাঁসি হয়েছে। যাদের হয়নি তাদের শাস্তির দাবি জানাই।

তিনি আরো বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়ে আবারও সরকার গঠন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অনেক উন্নয়ন ঘটেছে।

আব্দুস শহীদ বলেন, দেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিতে সম্পৃক্ত। সত্যিকার অর্থে এ দেশের কৃষকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। কৃষি খাত অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য একটি বড় খাত। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, খাদ্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করা চলবে না। প্রয়োজনীয় খাদ্য আমাদেরই উৎপাদন করতে হবে। কৃষকদের বাঁচাতে হবে উৎপাদন বাড়াতে হবে। তা নাহলে কৃষি তথা দেশকে বাঁচাতে পারবো না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা ১১টি বিশেষ অধিকার উল্লেখ করেছি। যার প্রথমটি- দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা। চতুর্থটি হলো- লাভজনক কৃষির জন্য সমন্বিত কৃষি ব্যবস্থা, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বাড়ানো।

চলতি বছরের ধানের উৎপাদন বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষকদের হার্ভেস্টার মেশিন দেওয়ায় একটা ধানও কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে নষ্ট হয়নি। আমরা চেষ্টা করছি আমাদের প্রতিটি কৃষক যাতে স্বয়ং সম্পূর্ণ হতে পারে। যেন তারা অভিযোগ না করে যে- একবার সার পেলাম তো মেশিন পেলাম না, আবার মেশিন পেলাম তো সার পেলাম না।

আব্দুস শহীদ বলেন, উন্নয়নের জন্য ঘাটতি বাজেট দেওয়া হয়। সেটা বিদেশি কোনো ফান্ড থেকে পূরণ হয়। এবার যে ঘাটতি তা জিডিপির ৪ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঘাটতি জিডিপির ৫ দশমিক ৭ শতাংশ ছিল। সব জায়গাতে ঘাটতি থাকে। সেটা বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ, এডিবি এসব সংস্থা থেকে ফান্ড নিয়ে পূরণ করেই বাজেট বাস্তবায়িত করা হয়। যার ফলে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালিত হয়, দেশের উন্নয়ন ঘটছে ব্যাপকভাবে। এবার কৃষি খাতে অনেক টাকা বাজেট দেওয়া হয়েছে। যোগাযোগ খাত, সামাজিক নিরাপত্তা, দারিদ্র্য বিমোচন, নারী উন্নয়ন ও শিশু কল্যাণে বাজেটে অধিক টাকা দেওয়া হয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here