• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৫ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

পরিসংখ্যানে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজ

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

দরজায় কড়া নাড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ। সবে জিম্বাবুয়ে সিরিজ শেষ করল টাইগাররা। আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ- ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই সিরিজে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা। ২২ নভেম্বর শুরু হয়ে এই সিরিজ শেষ হবে আগামী ২২ ডিসেম্বর। চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে খেলাটি।

২০১২ সালের পর এবারই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওই সিরিজে অনুষ্ঠিত হয়েছিল দুটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। এর মধ্যে বাংলাদেশ ৩-২ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়েছিল। কিন্তু টেস্ট সিরিজ ২-০ ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-০ ব্যবধানে হেরেছিল।

ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওই সিরিজের পর দুবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে ২০১৪ সালের সফরে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে, তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে হেরেছিল টাইগাররা। সিরিজের একমাত্র টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছিল।

এরপর চলতি বছর আবার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করে বাংলাদেশ। এই সফরে টাইগাররা লজ্জাজনকভাবে টেস্ট সিরিজ হারলেও ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নেয়। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে হারার পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে ও তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ১৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ দুটিতে জয় পেয়েছে, দশটিতে হেরেছে ও দুটিতে ড্র করেছে। একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ৩১টি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ ৯টিতে জয় পেয়েছে, ২০টিতে হেরেছে। বাকি দুটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয় ও হারের সংখ্যা সমান সমান। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণে ক্যারিবীয়দের সাথে নয়বারের দেখায় বাংলাদেশ চারটিতে জয় পেয়েছে ও চারটিতে হেরেছে। আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়।

টেস্টে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ এখন পর্যন্ত যে কবার মুখোমুখি হয়েছে, তার মধ্যে এক ইনিংসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ স্কোর ৫৫৬। আর সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। সেখানে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ৬৪৮/৯ডি ও ১২৯। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এক ইনিংসে দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ৩০১। আর সর্বনিম্ন ৫৮। বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এক ইনিংসে সর্বোচ্চ স্কোর হচ্ছে ৩৩৮। আর সর্বনিম্ন ৬১।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এক ইনিংসে বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ১৮৪, সর্বনিম্ন ৯৮। এই ফরম্যাটে টাইগারদের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস হচ্ছে ১৯৭, সর্বনিম্ন ১৩২।

গত তিন-চার বছর ধরে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে ভালো করছে বাংলাদেশ। সাদা পোশাকেও এসেছে সাফল্য। কিন্তু সাদা পোশাকে ধারাবাহিকভাবে ভালো করতে পারছে না টাইগাররা। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ছয়টি টেস্ট ম্যাচ খেলে একটিতে জিতেছে, চারটিতে হেরেছে ও একটিতে ড্র করেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে, ক্যারিবীয়দের পেস আক্রমণে সতর্ক থাকতে হবে টাইগারদের। অন্যদিকে ঘরের মাঠে স্পিনে বরাবরই শক্তিশালী বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের জন্য স্পিননির্ভর দল গড়েছে টাইগাররা। ১৩ সদস্যের স্কোয়াডে পেসার রাখা হয়েছে মাত্র দুজন। কিন্তু একাদশে পেসার রাখা হতে পারে একজন।

৩০ নভেম্বর মিরপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here