• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের নাস্তানাবুদ করে বাংলাদেশের ইতিহাস

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ওয়ানডে ও টি-২০ দুই ফরম্যাটেই বর্তমানে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ড। টি-২০তে এর আগে তাদের বিপক্ষে একবারের দেখায় হেরেছিল বাংলাদেশ। আজও ম্যাচ শুরুর আগে খাতাকলমে এগিয়ে ছিল ইংলিশরাই। তবে সাগরিকায় দেখা গেছে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। সাগরিকায় বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে রীতিমতো নাস্তানাবুদ করে ছাড়ল বাংলাদেশ। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ইংলিশদের পর্যুদস্ত করে ছয় উইকেটের দাপুটে জয় তুলে নিয়েছে টাইগাররা।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ছয় উইকেটে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছিল ইংল্যান্ড। জবাবে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় বাংলাদেশ। টাইগারদের হাতে ছিল আরো ১২ বল।

বাংলাদেশের হয়ে রান তাড়া করতে নামেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। দীর্ঘ ৮ বছর পর দলে সুযোগ পাওয়া রনি প্রথম বলেই চার হাঁকিয়ে ফেরাটা রাঙান। শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন তিনি।

দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথম ৩ ওভারে ৩২ রান যোগ করেন লিটন ও রনি। তবে চতুর্থ ওভারে এসেই প্রথম ছন্দপতন। লেগস্পিনার আদিল রশিদের মুখোমুখি প্রথম বলেই বোল্ড হন রনি। গুগলিতে পরাস্ত হওয়ার আগে তিনি ২১ রান করেন।

পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। জোফরা আর্চারকে পুল করতে গিয়ে ১২ রানে ক্রিস ওকসের তালুবন্দী হন এ ওপেনার। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন।

উইকেটের চারদিকে বাহারি সব শটে ২৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন শান্ত। ফিফটির পরই ৫১ রানে আউট হন এ ব্যাটার। এর আগে ২৪ রানে আউট হন এ ম্যাচে অভিষিক্ত হৃদয়।

বাকি সময় আর কোনো ভুল না করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিয়ে মাঠ ছাড়েন সাকিব ও আফিফ হোসেন। ইনিংস শেষে দুজন অপরাজিত থাকেন যথাক্রমে ৩৪ ও ১৫ রানে।

এর আগে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইংল্যান্ডের হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন ফিল সল্ট ও জস বাটলার। ডট বল কম রেখে সিঙ্গেলসের ওপরেও গুরুত্ব দিয়ে খেলতে থাকেন দুই ব্যাটার।

তার ফলও ইংল্যান্ড পায় ভালোভাবেই। যদিও ষষ্ঠ ওভারে বাটলার ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন। তবে তা তালুবন্দী করতে পারেননি সাকিব। জীবন পেয়ে আরো আক্রমণাত্মক খেলতে থাকেন ইংলিশ অধিনায়ক।

অন্যপ্রান্তে সল্ট এগোচ্ছিলেন ফিফটির দিকে। তবে নাসুম আহমেদের করা চতুর্থ ওভারের একদম শেষ ডেলিভারিতে লিটন দাসের তালুবন্দী হন তিনি। এর আগে ৩৫ বলে করেন ৩৮ রান।

তিনে নেমে মাত্র ৪ রানে আউট হন ডেভিড মালান। বেন ডাকেটও ২০ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে আপন গতিতে রান করতে থাকেন বাটলার। সাগরিকায় রীতিমতো ঝড় তোলেন তিনি।

মাত্র ৩২ বলে অর্ধশতকের দেখা পান বাটলার। সাজঘরে ফেরার আগে ৪২ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। যেখানে ছিল সমান ৪টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি। শেষদিকে ইংল্যান্ডের আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।

বাংলাদেশের হয়ে হাসান মাহমুদ দুটি এবং তাসকিন আহমেদ, সাকিব আল হাসান, নাসুম আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান প্রত্যেকে একটি করে উইকেট শিকার করেন।
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here