• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

ভিডিও গেমের আদ্যোপান্ত

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৯৮২ সালে ভিডিও গেমের উন্মাদনার জগতে প্রবেশ করে অ্যানিমেশন চলচ্চিত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিজনি পিকচার্স।ওই বছর তাদের ব্যানারে মুক্তি পায় 'ট্রন' নামের অ্যানিমেশন ছবিটি। এই চলচ্চিত্রের চরিত্রগুলোকে নিয়ে ওই বছর একই নামের একটি আর্কেড গেম বাজারে অবমুক্ত করা হয়। ছবিটির মতো গেমটিও পায় দারুণ ব্যবসায়িক সাফল্য। 'প্লেয়ার আনোন ব্যাটলগ্রাউন্ড' সংক্ষেপে পাবজি; বর্তমান সময়ে তুমুল জনপ্রিয় একটি মাল্টিপ্লেয়ার মোবাইল গেম। এতে একসঙ্গে অনেক গেমার প্রতিদ্বন্দিতা করতে পারে। এই মাল্টিপ্লেয়ার গেমের ধারণা সর্বপ্রথম নিয়ে আসেন ড্যান ব্রান্টেন, ১৯৮৩ সালে তার উদ্ভাবিত মিউল (M.U.L.E) নামের গেমের মাধ্যমে। ইরাতা নামের গ্রহে নিজেদের কলোনি রক্ষা করা ও ধনসম্পদ সংগ্রহ করতে গিয়ে একে অন্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হতো গেমারদের- সংক্ষেপে এই ছিলো গেমটির স্টোরিলাইন।


আর্কেড গেম নিয়ে তো অনেক কথা হলো। ১৯৮৪ সালে রাশিয়ান গণিতবিদ অ্যালেক্সিস পাজিতনভ উদ্ভাবন করেন 'টেট্রিস' নামের একটি পাজল গেম। তবে সেটি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বাজারজাত করা হয় নি। কোনোক্রমে গেমটির ফর্মুলা জেনে যায় নিন্টেন্ডো, চার বছর বাদে প্রত্যেক গেমপ্রেমী বালকদের এক নম্বর অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে গেমটি। শিক্ষামূলক সফটওয়্যারের জনপ্রিয়তা অনেক আগে থেকেই ছিলো। ১৯৮৬ সালে দ্য লার্নিং কোম্পানি বাজারে আনে 'রিডার র‌্যাবিট'। তখনকার দিনে বাচ্চাদের জন্য শিক্ষামূলক গেম নিয়ে এসে তুমুল ব্যবসা করে কোম্পানিটি। তবে সিডি রমের জায়গায় ইন্টারনেট চলে আসলে এ গেমের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ে।ফ্যান্টাসি রোল প্লেয়িং গেমের জন্য ১৯৮৭ সাল ছিলো বেশ ফলপ্রসূ একটি বছর। এ বছরই বিখ্যাত গেম 'লেজন্ডস অব জেলডা' বাজারে আসে এর নির্মাতা শিগেরু মিয়ামতোর হাত ধরে। এছাড়া ডাঞ্জিওনস এন্ড ড্রাগনস, লেইজার স্যুট ল্যারির মতো গেমগুলো প্রাপ্তবয়স্ক গেমারদের বিশেষ এক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে (রোল প্লে) গেম খেলার প্রতি আকৃষ্ট করে তোলে।


কম্পিউটার গেমের জন্য ১৯৯০ সালটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। উইন্ডোজ ৩ এ মাইক্রোসফট যুক্ত করে দেয় প্রচলিত তাস খেলার ডিজিটাল গেম ভার্সন 'সলিটেয়ার'।যেসব মানুষদের পক্ষে গেমিং কনসোল কেনা কষ্টসাধ্য ছিলো, তারা সহজেই কম্পিউটার গেমে মজে উঠেছিলো। সলিটেয়ারকে তো সর্বকালের অন্যতম জনপ্রিয় ইলেক্ট্রনিক গেম হিসেবে গন্য করা হয়! ১৯৯২ এ বাজারে আসা ওয়েস্টউড স্টুডিওজের ডিউন ২ ছিলো রিয়াল টাইম স্ট্রাটেজি গেমগুলোর পথিকৃৎ।এই গেমটিতে গেমারদের মিলিটারি অফিসারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে প্রতিপক্ষকে পরাস্থ করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হতো তৎক্ষণাৎ অর্থাৎ রিয়াল টাইমে। ১৯৯৫ সালে সনি বাজারে নিয়ে আসে প্লেস্টেশন ডিভাইসটি। সেগা স্যাটার্ন এর চেয়ে যেটির মূল্য ছিলো ১০০ ডলার কম! মূল্য কম হওয়ায় ও নিন্টেন্ডো ৬৪ এর সঙ্গে ভালোভাবে ম্যাচ করায় এটি সেগাকে হোম কন্সোল নির্মাণ এর প্রতিযোগিতায় হারিয়ে দেয়।


১৯৯৬ সাল ছিলো টম্ব রাইডারের বছর।এ গেমের চরিত্র লরা ক্রফট মন জয় করে নেয় প্রায় সব গেম প্লেয়ারের। তবে অনেক সমালোচক লরাকে ভিডিও গেমে যৌনতা আনয়নকারী হিসেবে মনে করে থাকেন।১৯৯৭ সালে মানুষের ওপর হয় মেশিনের জয়। আইবিএমের সুপার কম্পিউটার এর দাবা প্রোগ্রাম 'ডিপ ব্লু' সর্বকালের অন্যতম সেরা গ্র্যান্ড মাষ্টার গ্যারি কাস্পারভকে অবিশ্বাস্যভাবে দাবায় হারিয়ে দেয়! ২০০১ সালে ভিডিও গেমের বাজারে জোরেশোরে প্রবেশ করে মাইক্রোসফট, তাদের ব্র্যান্ড নিউ কন্সোল 'এক্সবক্স' কে নিয়ে। শুরুতেই তারা 'হালো: কমব্যাট এনভলভড' এর মতো হিট গেম উপহার দেয়। চার বছর বাদে এক্সবক্স ৩৬০ বের হলে তা লাখ লাখ গেমারদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এর অসাধারণ গ্রাফিক্স ও নিখুঁত অনলাইন গেম প্লের জন্য।অনলাইন গেমিং এর জন্য ২০০২ সালে মাইক্রোসফট নিয়ে আসে এক্সবক্স লাইভ, যা ব্রডব্যান্ড সহ বা ছাড়া গেমিং এর অভিজ্ঞতাকে দেয় অন্য এক মাত্রা!
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here