• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

Find us in facebook

‘তোমরা মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাক’

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

‘সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ’। মানুষের প্রতি মানুষের ভালো ধারণা ভ্রাতৃত্ববোধ তৈরি করে। মানুষে মানুষে দূরত্ব কমিয়ে কাছাকাছি নিয়ে আসে। আর মন্দ ধারণায় তৈরি হয় এর উল্টো চিত্র। তৈরি হয় মানুষের সঙ্গে মানুষে শত্রুতা।

মন্দ ধারণা অন্যায় ও অপকর্মের দিকে মানুষকে ধাবিত করে। এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা গুনাহগার হয়ে থাকে। ভালো মানুষ সবসময় সুচিন্তা নিয়ে চলবে, এটা ইসলাম উৎসাহ দেয়। ভাইয়ের প্রতি ভাইয়ের যেনো মন্দ ধারণা না থাকে এটাই ইসলাম প্রত্যাশা করে।

বিশ্বনবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘সুন্দর ধারণা সুন্দর ইবাদতের অংশ’। (আবু দাউদ ৪৯৯৩)

পক্ষান্তরে কুধারণা মোটেও কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। মন্দ ধারণা পোষণকারী ব্যক্তি হিংসা-বিদ্বেষ, দ্বন্দ্ব-কলহে ইন্ধন যোগায়।

এ জন্য আল্লাহ মন্দ ধারণাকে হারাম করেছেন, হজরত মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘তোমরা মন্দ ধারণা থেকে বেঁচে থাক’। (বোখারি ৬০৬৪)

মন্দ ধারণার কুফল সম্পর্কে সর্বদা সজাগ থাকতে ইসলাম নির্দেশ দিয়েছে। আল্লাহ বলেন, ‘তোমরা আত্মপ্রশংসা করো না, তিনিই সর্বাধিক অবগত যে, কে বেশি পরহেজগার’। (সূরা: নাজম, আয়াত: ৩২)

মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা ধ্বংসমুখী করে, মানুষকে বিপথে পরিচালিত করে, পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, بَلْ ظَنَنتُمْ أَن لَّن يَنقَلِبَ الرَّسُولُ وَالْمُؤْمِنُونَ إِلَىٰ أَهْلِيهِمْ أَبَدًا وَزُيِّنَ ذَٰلِكَ فِي قُلُوبِكُمْ وَظَنَنتُمْ ظَنَّ السَّوْءِ وَكُنتُمْ قَوْمًا بُورًا

অর্থ: ‘বরং তোমরা ধারণ করেছিলে যে, রাসূল ও মুমিনগণ তাদের বাড়ী-ঘরে কিছুতেই ফিরে আসতে পারবে না এবং এই ধারণা তোমাদের জন্যে খুবই সুখকর ছিল। তোমরা মন্দ ধারণার বশবর্তী হয়েছিলে। তোমরা ছিলে ধ্বংসমুখী এক সম্প্রদায়’। (সূরা: ফাতহ, আয়াত: ১২)

আবু হাতেব ইবনে হিববান আল বাসাতি (রা.) বলেন, ‘জ্ঞানীদের ওপর আবশ্যক হলো অপর মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা থেকে নিজেকে পূর্ণভাবে মুক্ত রাখা। যে অন্য মানুষ সম্পর্কে মন্দ ধারণা করে, তার অন্তর মরে যায়, আত্মিক অশান্তি বেড়ে যায় এবং তার অন্যায় কাজও বেড়ে যায়’। (রওয়াতুল উক্বালা, পৃষ্ঠা- ১৩১)

মুহাম্মাদ (সা.) মানুষের দোষ ও ছিদ্রান্বেষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি মানুষকে নিজ নিজ দোষ সংশোধনে আত্মনিয়োগ করতে উৎসাহিত করেছেন। আল্লাহর কাছে যে সব কথাবার্তার মূল্য নেই তা থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন।

মুহাম্মাদ (সা.) বলেন, ‘ওহে যারা মুখে ঈমান এনেছ, অথচ এখনও অন্তরে ঈমান আননি। তোমরা মুসলিমদের নিন্দা করো না, তাদের ছিদ্রান্বেষণ করো না। যে ব্যক্তি অপরের দোষ খুঁজে আল্লাহ তার দোষ অনুসন্ধান করেন। আর আল্লাহ যার দোষ তালাশ করেন, তাকে তার নিজ বাসগৃহেই অপদস্ত করেন’। (আবু দাউদ- ৪৮৮০)

ইয়া আল্লাহ! আমাদের সবাইকে অপরের সম্পর্কে মন্দ ধারণা থেকে মুক্ত করে ভালো ধারণা করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here