নামাজের ভেতরে-বাহিরে ফরজ কয়টি ও কী কী

ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামাজ দ্বিতীয়। নামাজ বেহেশতের চাবি। আল-কুরআনে ৮২ বার নামাজ শব্দ উল্লেখ করে নামাজের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তাই প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজকে ঈমানের পর স্থান দিয়েছেন। 

এখন আমরা জানাবো নামাজের ভেতরে ও বাইরে কয়টি ফরজ রয়েছে। নামাজের ভেতরে ও বাইরে মোট ১৩টি ফরজ (অবশ্য পালনীয়) কাজ রয়েছে। ফরজগুলো তুলে ধরা হলো-

নামাজের ভেতরে ৭টি ফরজ:

১. তাকবিরে তাহরিমা : আল্লাহর মহত্ত্ব প্রকাশ পায় এমন শব্দ দ্বারা নামাজ আরম্ভ করা ফরজ। আর তা হচ্ছে তাকবিরে তাহরিমা তথা আল্লাহু আকবার। যা দ্বারা নামাজের বাহিরের সব ধরণের কাজকে নিষিদ্ধ হয়ে যায়। আল্লাহ বলেন- তোমার প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা কর। (সুরা মুদদাসসির : আয়াত ৩)

২. কিয়াম করা : নামাজের জন্য সোজা হয়ে দাঁড়ানো। আল্লাহ বলেন, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে বিনীতভাবে দাঁড়াবে। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ২৩৮)

৩. কিরাত পড়া : সুরা ফাতিহার পর সুরা মিলানো। ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাতে এবং ওয়াজিব, সুন্নাত ও নফল নামাজের সব রাকাতে সুরা মিলানোই ফরজ। আল্লাহ বলেন- তোমরা কুরআন থেকে যতটুকু সহজ হয়, ততটুকু পড়। (সুরা মুযযাম্মিল : আয়াত ২০)

৪. রুকু করা : প্রত্যেক রাকাতে একবার রুকু করা ফরজ। রুকু হচ্ছে- দাঁড়ানো থেকে অর্ধনমিত হওয়া, যেন দু`হাত হাঁটু পর্যন্ত পৌঁছে যায়। মাথা এবং পিঠ এক সমান্তরালে চলে আসে। আর বসে নামাজ পড়ার সময়ও ঝুঁকতে হবে, যেন কপাল হাঁটু বরাবর গিয়ে পৌঁছে। আল্লাহ বলেন-তোমরা রুকুকারীদের সঙ্গে রুকু কর। (সুরা বাক্বারা : আয়াত ৪৩)

৫. সিজদা করা : প্রতি রাকাতে দু`টি সিজদা করা ফরজ। সিজদার সময় নাক ও কপাল মাটিতে রাখা। আল্লাহ বলেন- হে ঈমানদারগণ! তোমরা রুকু কর এবং সিজদা কর। (সুরা হজ : আয়াত ৭৭)

৬. শেষ বৈঠকে বসা : নামাজের শেষ রাকাতে সিজদার পর তাশাহহুদ পড়তে যতটুকু সময় লাগে ততটুকু পরিমাণ সময় বসা (অবস্থান করা) ফরজ। তাশাহহুদ পড়া ওয়াজিব, দরুদ ও দোয়া পড়া সুন্নাত।

৭. সালাম ফেরানো : সালামের মাধ্যমে নামাজ সমাপ্ত করা ফরজ।

নামাজের বাইরে ৬টি ফরজ:

(১) শরীর পাক হওয়া। (সুরা মায়িদা ৬)

(২) কাপড় পাক হওয়া। (সুরা মুদাছছির ৪)

(৩) নামাজের জায়গা পাক হওয়া। (সুরা বাকারা ১২৫)

(৪) সতর ঢাকা। (অর্থাৎ পুরুষগণের নাভি হতে হাঁটুর নীচ পর্যন্ত এবং মহিলাদের চেহারা, কব্জি পর্যন্ত দুইহাত এবং পায়ের পাতা ব্যতিরেকে সমস্ত শরীর ঢেকে রাখা)। (সুরা বাকারা ১৪৪)

(৫) কিবলামুখী হওয়া। (সুরা বাকারা ১৪৪)

(৬) ওয়াক্ত মত নামাজ পড়া। (সুরা আন’নিসা ১০৩)