• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

জুমার দিনে গোসলের মর্যাদা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

জুমার নামাজের জন্য অজু করা যথেষ্ট। আর গোসল করা উত্তম। এ সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে বিষয়গুলো সুষ্পষ্ট করেছেন। হাদিসের আলোকে উভয়টিই ভালো ও উত্তম সুন্নাতি আমল।

তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার দিন গোসলের ব্যাপারে খুব বেশি তাগিদ দিয়েছেন। জুমার দিন গোসল করা অতি উত্তম কাজ।

হজরত সামুরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিন অজু করল; সে যথেষ্ট করলো ও ভালো করলো। আর যে গোসর করলো সে অধিক উত্তম।’ (ইবনে মাজাহ)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি জুমার দিন জানাবাত (নাপাকি থেকে পবিত্রতার) গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমন করে সে যেন একটি উট কোরবানি করলো। যে ব্যক্তি দ্বিতীয় পর্যায়ে আগমন করে সে যেন একটি গাভী কোরবানি করলো। তৃতীয় পর্যায়ে যে আগমন করে সে যেন একটি শিং বিশিষ্ট দুম্বা কোরবানি করলো। চতুর্থ পর্যায়ে আগমন করলো সে যেন একটি মুরগি কোরবানি করলো। পঞ্চম পর্যায়ে যে আগমন করলো সে যেন একটি ডিম কোরবানি করলো। পরে ইমাম যখন খুতবাহ দেওয়ার জন্য বের হন তখন ফেরেশতারা (ইমামের খুতবাহ) উপদেশ শোনার জন্য (মসজিদে) উপস্থিত হয়ে থাকে।‘ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমাদ)

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জুমার নামাজের জন্য গোসল করে এ দিনের উত্তম আমলে নিজেদের সম্পৃক্ত করা। একান্ত কোনো কাজে ব্যস্ত থাকলে অজু করেও জুমা পড়ায় দোষ নেই। তবে জুমার জন্য গোসল করাকে আবশ্যক বলেছেন বিশ্বনবি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে জুমার দিন অজুসহ গোসল করে নামাজের প্রস্তুতি গ্রহণ ও আগে আগে পায়ে হেঁটে মসজিদে যাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here