• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে কৃষিতেই ক্ষতি ১০৫ কোটি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কুড়িগ্রামে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠছে ক্ষতচিহ্ন। ক্ষেতে মাচা থাকলেও নেই সবুজ ডালপালা। ভেসে উঠছে পাট, পটল, বীজতলা ও বেগুনসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত। দ্বিতীয় দফায় দীর্ঘ স্থানীয় বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতেই ক্ষতি ১০৫ কোটি টাকা।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, জেলার ৯ উপজেলায় শুধু কৃষিতে ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যায়। এতে ক্ষতি হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। আর ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫০ হাজার। অপরদিকে, বন্যার পানির প্রবল স্রোতে গ্রামাঞ্চলের কাঁচাপাকা সড়কগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে যাতায়াত করছেন মানুষজন। এসব সড়ক ও ঘরবাড়ির ক্ষতি নিরূপণে কাজ করছে সংশ্লিষ্ট দফতর।

কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের সিতাই ঝাড় এলাকার কৃষক কোবেদ আলী বলেন, আমার এক বিঘা জমির পটলের আবাদ শেষ। এখনো বাড়ির চারিদিকে পানি। আমন বীজতলা করতে পারছি না। আমন আবাদও মনে হয় করা হবে না।

ওই এলাকার কৃষক মোস্তাফা বলেন, বানের পানিতে এখনো সব আবাদি জমি। বীজতলা করার সময় শেষের দিকে। এবার কৃষকরা কিভাবে আবাদ করবে চিন্তায় বাঁচি না।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, দ্বিতীয় দফা বন্যায় জেলার ৯ উপজেলায় কৃষিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। আমরা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা করছি। এছাড়াও কৃষকরা যেন আমন আবাদ ভালোভাবে করতে পারেন এ জন্য পরামর্শ দিচ্ছি।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান জানান, প্রায় দুই সপ্তাহ পর ধরলা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্রসহ জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত সব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে বন্যার কোনো পূর্বাভাস নেই।

Place your advertisement here
Place your advertisement here