• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে তিস্তার ডালিয়া ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলেও এখনো ভোগান্তি কমেনি প্লাবিত হওয়া নিম্নাঞ্চলে। গ্রামীণ কাচা সড়ক ও কৃষকের চাষাবাদকৃত ধান, পাট, বীজতলা ও বাদামের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

আজ সোমবার (৮ জুলাই) সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে নদীর পানি লোকালয় থেকে নামতে শুরু করেছে। তবে এখনো ভোগান্তি রয়েছে প্লাবিত হওয়া এলাকা গুলোতে। নদীর নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলে ক্ষতি হয়েছে নানাজাতের ফসলের ক্ষেত ও গ্রামীণ সড়কগুলোর।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী বাসিন্দা আজগর আলী (৪০) বলেন, গত চারদিন তিস্তার পানি লোকালয়ে ছিলো। আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। নদীর চরে ধান চাষের জন্য বীজ রোপণ করেছিলাম। টানা কয়েকদিন পানির নিচে থাকায় বীজতলা নষ্ট হয়েছে। কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছি না। 
একই ইউনিয়নের স্পার বাঁধ এলাকার জাহাঙ্গীর ইসলাম (৩৫) বলেন, গতরাতে বৃষ্টি হলেও নদীর পানি কমে যাচ্ছে। এজন্য নিম্নাঞ্চল থেকে পানিও কমতে শুরু করেছে। তবে রাস্তাঘাটের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া এখনো সব এলাকা থেকে পানি নামেনি। সদর উপজেলার পাকার মাথার বাসিন্দা মজিবর বলেন, (৬০) নদীর পানি এ পর্যন্ত ৭-৮ বার বাড়লো আবার কমে গেলো। গত তিনদিন একটু বেশি ছিলো। আজকে আবার কমতে শুরু করেছে। হুট করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের ধান আর বাদামের খুব ক্ষতি হয়েছে। তাছাড়া চরের জমিতে চাষ করা অনেকের জমির পাট ভেসে গেছে। আবার পানি কমা শুরুর পর থেকে নদীর ভাঙ্গনও শুরু হয়েছে।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে চর ও নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছিলো। এতে কৃষকের ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নিরুপণে কৃষি বিভাগ কাজ করছে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার রায় বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টি ও উজানের ঢলে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছিলো। তবে আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে শুরু হওয়ায় কয়েকটি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে জরুরি আপদকালীন কাজ হিসেবে জিও ব্যাগ ফেলার প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here