• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

আবারও বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে দুধকুমার নদের পানি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর গত কয়েকদিনের টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী  উপজেলার প্রধানতম নদী  দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে নদী অববাহিকার চর ও ডুবোচরে পানি ঢুকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)'র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানায়,  বুধবার (৩ জুলাই )  দুপুর ১২টায় দুধকুমার নদের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় ২৫ সেন্টিনিটার বৃদ্ধি পেয়ে  বিপৎসীমার ১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

পানি বৃদ্ধির ফলে এসব নদীর তীরবর্তী নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। চরাঞ্চলে পানি ওঠার ফলে পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এসব চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব চরের  শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের আবাদ।

দুধকুমার নদীর অববাহিকার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ছিটপাইকের ছড়া ও পাইক ডাঙ্গা, সোনাহাট ইউনিয়নের চরবলদিয়া, চর শতিপুরি, তিলাই ইউনিয়নের চরতিলাই, খোচা বাড়ির চর, চর—ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর ও আন্ধারিঝাড় ইউনিয়নের চরধাউরারখুটিসহ বেশকিছু চরাঞ্চল তলিয়ে গেছে। এখানকার প্রায়  শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

দুধকুমার নদী পাড়ের বাসিন্দা মাইদুল, ফরিদুল, জুলহাস ও চান মিয়া  জানান, যে হারে নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে দুই এক দিনের মধ্যে চরাঞ্চল পানিতে তলিয়ে যাবে। বন‍্যা হওয়ার আশঙ্কায় আছি। ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন পার করছেন নদী পাড়ের বাসিন্দারা।

ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের  চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক  জানান, গত তিনদিন থেকে ইউনিয়নটির পাইকডাঙ্গা ও ছিট পাইকের ছড়া গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে আছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান  জানান, কুড়িগ্রামের সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা সব নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমরা ত্রাণ সহায়তা বিতরণ অব্যাহত রেখেছি। জেলা জুড়ে ৪ শতাধিক আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে যেসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে আমরা সেদিকে বাড়তি নজর রাখছি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here