• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

স্বজনদের প্রশিক্ষণার্থী বানিয়ে টাকা আত্মসাৎ-এর অভিযোগ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার উপ-সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে সাক্ষীদের মৌখিক এবং লিখিত বক্তব্য সংগ্রহ করেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফছানা কাওছারা জানান, প্রশিক্ষণে অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গত ২৯ জুন উপজেলা প্রশাসনের পাঠানো লিখিত সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিটি গঠন করা হয়। দুই সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন বস্ত্র ও পাট অধিদফতরের প্রকল্প পরিচালক অতিরিক্ত সচিব দীপক কুমার সরকার। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ঢাকা থেকে এসে তদন্ত করে গেছেন।

তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- বস্ত্র ও পাট অধিদফতরের উপপরিচালক ও উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ, পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ও প্রকল্পের সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ মো. ওসমান আলী শেখ। এছাড়া তদন্তের সময় ইউএনও আফছানা কাওছার, জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ওয়াসিম কুমার মালাকার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন সোহেল সঙ্গে ছিলেন।

তদন্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট অধিদফতরের উপপরিচালক ও উপ-সচিব সৈয়দ ফারুক আহম্মদ জানান, সাক্ষ্যের ভিত্তিতে সহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট জমা প্রদান সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে অধিদফতর।

তদন্তের দায়িত্বে থাকা আরেক সদস্য প্রকল্পটির সহকারী পরিচালক কৃষিবিদ ওসমান আলী শেখ বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাটবীজ উৎপাদন এবং সম্প্রসারণ প্রকল্পটি দেশের ৪৫টি জেলার ২৮০টি উপজেলায় চলমান রয়েছে। এ রকম অনিয়ম এটিই প্রথম। পাট কর্মকর্তা ঝরনা আক্তারও তার ভুল স্বীকার করেছেন।

তদন্তের দিন অভিযুক্ত উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতার সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

প্রসঙ্গত, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার পরিষদ হলরুমে অন্য উপজেলা থেকে আত্মীয়-স্বজনদের এনে প্রশিক্ষণার্থী বানিয়ে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা ঝরনা আকতারের বিরুদ্ধে। গত ২৭ জুন এ ঘটনা ঘটে। সে সময় স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা পাট উন্নয়ন কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি ধরা পড়ে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here