• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার পানি বাড়ছে

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়ার নদীর পানি বেড়েই চলেছে। ফলে এসব নদ-নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। এদিকে তিস্তা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তিস্তার পানি কমে বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে, গত ২৪ ঘণ্টায় উচ্চতা ৫৯ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার ৪৯ সে.মি, ঘাঘট নদীর পানি ৬৬ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ১০৩ সে.মি ও করতোয়া নদীর পানি ৪৪ সে.মি বৃদ্ধি পেয়ে ৩১৫ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া ১৬ সে.মি হ্রাস পেয়ে তিস্তার পানি (কাউনিয়া পয়েন্টে) বিপৎসীমার ৬৭ সে.মি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ২৪ ঘণ্টায় ৭১.৫০ মিলিমিটার।

জানা যায়, গত কয়েক দিনের ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে জেলার সবগুলো নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করে। এ কারনের নদীর তীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হচ্ছে। এসব এলাকার বেশ কিছু ঘরবাড়ি ও বিভিন্ন ফসলাদি পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে হাজারও মানুষ। বন্যা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে এসব এলাকার মানুষের মাঝে।

নদ-নদীগুলোর পানিবৃদ্ধির কারণে গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে বেশ কিছু স্থানে প্লাবিত হচ্ছে। সদরের কামারজানি, ঘাগোয়া, ফুলছড়ির ফজলুপুর, এরেন্ডাবাড়ি এলাকায় পানি উঠতে শুরু করছে। পানিবৃদ্ধির ফলে কিছু সংখ্যক ঘরবাড়িতে পানি জমেছে। প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। এসব এলাকার পানিবন্দি মানুষরা গৃহপালিত পশু-পাখি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ছেন। অন্যদিকে তিস্তার পানি কমতে থাকায় সুন্দরগঞ্জের হরিপুর, কাপাসিয়া, তারাপুরের প্লাবিত এলাকার পানি নামতে শুরু করেছে।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক বলেন, ভারি বর্ষণ ও উজনের ঢলে গাইবান্ধায় ৩ নদ-নদীর পানি বেড়েই চলেছে। কমছে তিস্তা নদীর পানি। ভারি বৃষ্টি না হলে দু-একদিন পর থেকে পানি কমতে শুরু করবে। সব ধরণের ঝুঁকি মোকাবেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here