• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

কর্তৃপক্ষের ভুলে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়া হলো না ১৬ শিক্ষার্থীর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় কলেজ কর্তৃপক্ষের অবহেলায় উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) কারিগরি (বিএম শাখা) পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৬ জন পরীক্ষার্থী। রোববার (৩০ জুন) কালীগঞ্জ উপজেলার চলবলা ইউনিয়নের শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের ১৬ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি। 

জানা গেছে, উপজেলার চরবলা ইউনিয়নে কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটাতে শিয়াল খোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রতি বছর ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কারিগরি শিক্ষায় ব্যাপক সফলতা অর্জন করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশে যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানটির এইচএসসি প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী ফরম পূরণ করেন।

ফরম পূরণ করা পরীক্ষার্থীরা যথাসময়ে প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রবেশ পত্র সংগ্রহের জন্য গেলে কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের প্রবেশ পত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়েও কর্তৃপক্ষের কোনো সহায়তা বা প্রবেশ পত্র পায়নি। ফলে ফরম পূরণ এবং প্রস্তুতি নিয়েও পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেননি তারা। কেন্দ্রে পৌঁছেও পরীক্ষা দিতে না পেরে হতাশা নিয়ে ফিরে গেছে ১৬ জন পরীক্ষার্থী। 

প্রতিষ্ঠানটির পরীক্ষার্থী বিপুল চন্দ্র ও আবু হাসান লিমন জানান, পরিবারের কাছে টাকা নিয়ে কলেজে দিয়ে যথা সময়ে নিয়মে মেনে ফরম পূরণ করেন প্রথম বর্ষের ১৬ জন পরীক্ষার্থী। কলেজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল কেন্দ্রেই প্রবেশ পত্র পৌঁছে দেওয়া হবে। সেই আশায় কেন্দ্রে গিয়েও পরীক্ষা দিতে পারেননি তারা ১৬ জন পরীক্ষার্থী। কর্তৃপক্ষের অবহেলায় তাদের জীবন থেকে হারিয়ে গেল শিক্ষা জীবনের একটি বছর। এটি ন্যায় বিচার দাবি করেন তারা। 

পরীক্ষার্থীর অভিভাবক বাবুল বলেন, সন্তানদের জীবন নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলে এমন শিক্ষক বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া উচিত। তাদের অবহেলায় ১৬ জন পরীক্ষার্থীর জীবন থেকে হারিয়ে গেল একটি বছর। তিনিও ন্যায় বিচার দাবি করেন।

শিয়ালখোওয়া সূর্যমুখী টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষক সুকুমার বলেন, ১৬ জন পরীক্ষার্থীর সকলের ফরম পূরণ করা হয়েছিল। অনলাইন জটিলতায় তাদের প্রবেশ পত্র পাওয়া যায়নি। এ নিয়ে ঢাকায় কয়েক দফায় গিয়েও কোনো কাজ হয়নি। 

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহির ইমাম বলেন, লোক মুখে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here