• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে ভারী বর্ষণে ভেঙে গেছে সড়ক, বন্ধ যান চলাচল

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ে অতি ভারী বর্ষণে কালভার্টের পাশে একটি সড়ক ভেঙে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। রোববার ভোরে পঞ্চগড় সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়া-দেওয়ানহাট সড়কের বলেয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

রাস্তা ভেঙে যাওয়ার কারণে কয়েক কিলোমিটার ঘুরে যানবাহনগুলোকে জেলা শহরে আসতে হচ্ছে। এদিকে শনিবার সন্ধ্যা থেকে রাতভর অতি ভারী বৃষ্টিতে বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তবে রোববার দিনভর বৃষ্টিপাত না থাকায় আবদ্ধ বৃষ্টির পানি সরে যেতে শুরু করেছে।

সদর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জানান, বলেয়াপাড়া হয়ে দেওয়ানহাট-জগদল যাওয়ার পাকা সড়কটি প্রতিদিন অনেক যানবাহন চলাচল করে। শনিবার রাতের অতিবৃষ্টিতে বলেয়াপাড়া গ্রামের একটি কালভার্টের পাশের মাটি সরে গিয়ে সড়কটি ভেঙে যায়। এতে করে ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি। 

তিনি আরো জানান, পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের বানিয়ার মিল সংলগ্ন ভাঙ্গামালি ব্রিজের ভাটি অংশে স্থায়ীভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় সেখানে দিয়ে পানি প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। এ কারণে সেই পানির চাপ বেড়েছে বলেয়াপাড়া দিয়ে। গত বর্ষা মৌসমেও এই ব্রিজের মুখ বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার হঠাৎপাড়া ও সদর ইউনিয়নের বলেয়াপাড়ায় স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছিল। 

 সাবেক এমপি মজাহারুল হক প্রধান, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল হক ও পৌর মেয়র জাকিয়া খাতুন উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন করে একটি দেয়াল ভেঙে পানি সরে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। সেই সঙ্গে দ্রুত পানি সরে যাওয়ার জন্য বলেয়াপাড়ায় সড়কের ওপর রিং কালভার্ট ভেঙে সেখানে বক্স কালভার্ট এবং পঞ্চগড়-হাড়িভাসা সড়কের পাশ দিয়ে বড় ড্রেন নির্মাণ করে পানি পার্শ্ববর্তী তালমা নদীতে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু এলজিইডি যে এলাকা দিয়ে পানি চাপ বেশি সেখানে রিং কালভার্ট ভেঙে বক্স কালভার্ট না করে সেখানে থেকে অনেকটা দূরে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে। যার কোনো প্রয়োজনই ছিল না। আর সড়কের ধার দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করে পানি তালমা নদীতে ফেলার কোনো উদ্যোগ এখন পর্যন্ত নেয়া হয়নি।

এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলী রমজান আলী বলেন, খবর পেয়ে সেখানে গিয়েছিলাম। রিং কালভার্ট থাকায় সেখান দিয়ে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হয়ে পানির চাপে সড়কটি ভেঙে গেছে। আসছে অর্থবছরে সেখানে একটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ করা হবে। আপাতত বর্ষা মৌসুমে সেখানে কাঠ বা বাঁশ দিয়ে সাঁকো নির্মাণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি। আগামী অর্থ বছরে সেখানে একটি বড় বক্স কালভার্ট নির্মাণ করে হবে বলে আমাকে জানিয়েছেন। যানবাহন ও মানুষ চলাচলের যেন কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য সেখানে একটি সাঁকো নির্মাণের ব্যবস্থা নিতে ইউপি চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত সেখানে সাঁকো নির্মাণ করে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে রোববার বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা জুড়ে ১৮২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here