• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

লাশ উদ্ধারের ৬ মাস পর মামলা, স্ত্রী-কন্যা গ্রেফতার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৩ মে ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook


লালমনিরহাটে নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সেনের লাশ উদ্ধারের ৬ মাস পর আদালতে মামলা করেছেন নিহতের ছেলে প্রশান্ত সেন। মামলার পর হরেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় স্ত্রী মাধবী রানী (৪৫) ও তার মেয়ে তাপসী রানীকে (২৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ মে) দিবাগত রাতে সদর উপজেলার মোগলহাট ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্রনাথ সেন ঐ গ্রামের মৃত হেমন্ত সেনের ছেলে। গ্রেফতারকৃত মাধবী রানী হরেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় স্ত্রী এবং তাপসী রানী তাদের মেয়ে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, নিহত পল্লী চিকিৎসক হরেন্দ্র নাথের প্রথম স্ত্রী মারা যান ১৯৯৮ সালে। পরে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন মাধবী রানী সেনকে। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে সংসার চলে যাওয়ার পর ২০১২ সালে নিহতের প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রশান্ত ও প্রদীপকে বাড়ি থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এরপর দুই ভাই কোনদিনই আর বাড়িতে ফিরতে পারেননি। দ্বিতীয় স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণে ছিলেন হরেন্দ্রনাথ সেন। নিজের ছেলেসন্তান না থাকায় সতিনের ছেলেদের বঞ্চিত করে মাধবী রানী সেন কৌশলে স্বামীর কাছ থেকে সব জমি নিজের নামে লিখে নেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর মাধবী রানী অন্য আসামিদের সহযোগিতা নিয়ে হরেন্দ্র নাথ সেনকে কৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহটি ঘরের মেঝের ওপর রেখেছিলেন। এ সময় সব আসামিরা বাড়ির ভেতর ছিলেন। বাড়ির প্রধান দরজা বন্ধ রাখায় গ্রামের লোকজন বাড়ির ভেতর প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর ঐদিন বিকেলে সদর থানা পুলিশ হরেন্দ্রনাথ সেনের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় লালমনিরহাট সদর থানায় একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দেয় হরেন্দ্রনাথের ছেলে প্রশান্ত সেন। কিন্তু পুলিশ মামলা না নিলে গত ১৩ মে বিমাতা তথা নিহত হরেন্দ্রনাথের দ্বিতীয় স্ত্রী মাধবী রানীসহ আটজনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা করা হয়।

লালমনিরহাট সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলাল হোসাইনের আদালত ঐদিনই মামলাটি রেকর্ড করে পাঁচদিনের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশকে। আদালত থেকে মামলার কপি পাওয়ার পর বুধবার রাতে মাধবী ও তাপসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মামলার বাদী নিহতের সন্তান প্রশান্ত কুমার সেন বলেন, আমাদের বাবাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সুকৌশলে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের বিমাতা ষড়যন্ত্র করে বাবার কাছ থেকে বসতভিটাসহ প্রায় ৭ বিঘা জমি লিখে নিয়েছেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাশেদুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। দ্রুত বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here