• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

Find us in facebook

রংপুর নগরীর যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশের নতুন উদ্যোগ             

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

রংপুর মহানগরীতে নিয়ন্ত্রণহীন অটোরিকশার দাপটে যানজটের তীব্রতা বাড়ায় পরিস্থিতি নিরসনে মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক সম্প্রতি নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্তর থেকে কাচারি বাজার,  সিটি বাজার ও পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি হয়ে গ্রান্ডহোটেল মোড় পর্যন্ত সড়কে লেন ডিভাইডার কোণ দিয়ে রাস্তার দুপাশে লেন ভাগ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

 রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) সূত্রে জানা গেছে, রসিক থেকে ৮ হাজার ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন নগরীতে অটোরিকশা ও রিকশা চলছে ২৫ থেকে ৩০ হাজারের মতো। এর মধ্যেই পার্শ্ববর্তী জেলা ও উপজেলা থেকেও শত শত অটোরিকশা ঢুকছে। এতে নগরীর প্রাণকেন্দ্র কাচারি বাজার, সিটি বাজার, সুপার মার্কেট, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি মোড়, প্রেস ক্লাব এরিয়া, শাপলা চত্বর ও ধাপ মেডিকেল মোড়সহ বিভিন্ন মোড়ে প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ইতোমধ্যে অবৈধ রিকশা চলাচল বন্ধে নীল রং করা হলেও যানজট  আগের মতো থাকায় রংপুর মেট্রোপলিটন ট্রাফিক  পুলিশের নতুন এই উদ্যোগ নগরীর বঙ্গবন্ধু চত্তর থেকে কাচারি বাজার,  সিটি বাজার ও পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানি হয়ে গ্রান্ডহোটেল মোড় পর্যন্ত সড়কে লেন ডিভাইডার কোণ দিয়ে রাস্তার দুই পাশে ভাগ করা।  

এর আগে রংপুর নগরীর ওই রাস্তা সমূহে একপাশে লেন ডিভাইডার কোণ দিয়ে রাস্তা ভাগ করা ছিল ফলে শুধু এক পাশে রাস্তার যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল কিন্তু অন্য পাশে যানজট লেগেই থাকতো। তাই রংপুর নগরীকে পুরোপুরি যানজট মুক্ত করতে  ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক নতুন এই উদ্যোগ।  এ বিষয়ে  জানতে চাইলে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মেনহাজুল আলম জানান,  আমরা রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের রংপুর মহানগরীর রাস্তাগুলোতে যান শৃঙ্খলা রক্ষা করার জন্য সম্মানিত পুলিশ কমিশনারের নির্দেশনায় শহরে যে রাস্তাগুলো কে আমরা দুইটা অংশে ভাগ করেছি। যেগুলো ধীরগতির গাড়ি সেগুলো বাম পাশ দিয়ে যাবে আর যেগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি গতিসম্পন্ন গাড়ি সেগুলো ডান পাশ দিয়ে  যাবে। সেইটাকে টার্গেট করে আমরা শহরের রাস্তা গুলোকে দুই ভাগে ভাগ করেছি। আমরা প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে জাহাজ কোম্পানি পর্যন্ত শুধু বাম পাশেই করেছিলাম একটা রাস্তাই প্রাথমিকভাবে। তখন আমরা দেখলাম যে মানুষ যেকোনো কাজ শুরু করলে তা স্বাভাবিকভাবে নিতে মানুষের একটু সময় লাগে। আমরা প্রাথমিকভাবে সচেতন করার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে যারা অটো চালক,মোটরসাইকেল চালক বা ঐ ধরনের যারা ড্রাইভার রয়েছে তাদেরকে বলছি যে, আপনারা নিয়ম মেনে চলাচল করার চেষ্টা করেন যাতে সবাই নির্দিষ্ট সময়েই তার গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে।

আমরা ঈদের সময় এই অভাবটা পুরোপুরিভাবে কার্যকর করার চেষ্টা করছি এবং তাতে আশানুরূপ সাড়া আমরা পেয়েছি।  এবং যানজট অনেকটাই কম ছিল, যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তো সেটারই ধারাবাহিকতায় রাস্তার যে অপর পাশ যে ডান দিকটা আছে সেখানেও আমরা কাজ শুরু করেছি। জাতে যান চলাচল গুলোকে স্বাভাবিক রাখা যায় এবং কোনভাবেই যেন মানুষ যানজটের কবলে না পড়ে। আপনারা জানেন যে, রংপুরের রাস্ত াঘাটের প্রশস্ততা তুলনামূলভাবে অনেক কম।

তাই এগুলো যখন দুই ভাগে ভাগ করা হযেছে তখন বামদিকে যেহেতু অটোর চলাচল তাই বামদিকে একটু চাপ বেশি পড়ছে আর যদি বাম দিকে কমপক্ষে ২ ফিট বা ৪ ফিট জায়গা থাকতো তাহলে বামদিকেও যান চলাচলটা স্বাভাবিক হত। বিষয়টা আমাদের মাথায় আছে। যেহেতু আমরা এই মুহূর্তে আর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না তাই আমাদেরকে এভাবেই আগাতে হবে। ১০০ শতাংশ পারফেক্ট হবে না। এখান থেকেই ভালো দিকটা আমরা সম্প্রসারণ করবো।
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here