• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

তিস্তার পানি সংরক্ষণে ৪৯৯ কোটির টাকার প্রকল্পের সমীক্ষা প্রকাশ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 দেশের সর্ববৃহৎ সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের উজানে খনন ও বাধ নির্মানের মাধ্যমে ভূ-উপরিস্থ পানি সম্পদের সংরক্ষণ ও যথার্থ ব্যবহার করণ এবং কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা নদীর বামতীর সংরণ কাজের জন্য ৪৯৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এই প্রকল্পটি সম্ভাব্যতা যাচাই করে এর সমীা প্রকাশ করা হয়েছে।

আজ শনিবার(৪ মার্চ) নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ডালিয়াস্থ তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন অবসর রেষ্ট হাউজ সম্মেলন কক্ষে নীলফামারী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যেগে এবং নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহায়তায় এই  সমীক্ষা প্রকাশের দিন ব্যাপী মতবিনিময় সভার আয়োজন ছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন নীলফামারী-১ আসনের সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকার।

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চলের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মাহাবুবর রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তাবিত সমীক্ষায় জানানো হয় তিস্তা বাংলাদেশের আন্ত:সীমান্ত নদীগুলোর অন্যতম। নদীটির বাংলাদেশ অংশের উজানে খনন না হওয়ার কারনে বিগত কয়েক দশক ধরে পলি জমে এর পানি ধারন মতা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। যার ফলশ্রুতিতে উজান থেকে নেমে আসা সামান্য পাহাড়ী ঢলে তিস্তা ব্যারাজের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করে যা তিস্তা ব্যারাজের জন্য মারাত্বক হুমকিস্বরূপ। নদীর পানি ধারনমতা কমে যাওয়ায় শুস্ক মৌসুমে তিস্তা শুকিয়ে যায়। তাই তিস্তা সেচ প্রকল্পে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করা যাচ্ছে না। এ জন্য  ২০২১ সালের ৪ঠা মে  অনুষ্ঠিত একনেক সভায় মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ অভ্যন্তরে তিস্তা ব্যারেজের উজানে তিস্তা নদীর ১৬ কিলোমিটার এলাকা খনন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে আলাদাভাবে একটি প্রকল্প গ্রহনের ব্যাপারে নির্দেশনা দেন।

পাশাপাশি কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশাম ৩ কিলোমিটার ও বগুড়াপাড়ায় ১৬ কিলোমিটার  নদী ভাঙ্গনরোধে একটি প্রকল্পের ডিপিপি প্রনয়নের উদ্দেশ্যে উক্ত এলাকার তিস্তানদীর বাম তীরের সমীার প্রয়োজরীয়তা দেখা দেয়। এ প্রেেিত বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) তিস্তা ব্যারেজের উজানে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভু-উপরিস্থ পানি সম্পদের সংরণ ও বুদ্ধিদ্দীপ্ত ব্যবহার এবং কুড়িগ্রাম জেলার তিস্তা নদীর বামতীর সংরন কাজের সম্ভাব্যতা সমীা শীর্ষক প্রকল্পটি হাতে নেয়। যা ২০২২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারী হতে  পানি স¤পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন প্রদান করে। সম্ভাব্যতা সমীাটি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ করে উক্ত প্রকল্পটি ৪৯৯ কোটি ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে শুরু করা হবে।

অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয় প্রকল্পটি থাকবে  তিস্তা ব্যারেজের উজানে তিস্তানদীতে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে ভু-উপরিস্থ পানি সম্পদের সংরণ, জলাধার নির্মানের মাধ্যমে তিস্তা নদীর কমান্ড এরিয়ার আওতাধিন কয়েকটি নদীর পানির ধারন মতা বৃদ্ধি, প্রকল্প এলাকার নদীসমূহের পানি ধারণক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সেচ ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ করা। এটি বাস্তবায়িত হলে  ভূগর্ভস্থ পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি কৃষিপণ্য, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশগত উন্নয়ন সাধন, ফিজিক্যাল মডেলিং এর মাধ্যমে তিস্তা নদীর প্রধান গতিপথ শনাক্ত করা। লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার গতিয়াশয় ও বগুড়াপাড়া
এলাকার নদী ভাঙন রোধ করা গেলে  ম্যাথমেটিক্যাল মডেলিং, ফিজিক্যাল মডেলিং এবং পরিবেশগত ও সামাজিক প্রভাব নিরূপন করা সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের পশ্চিম অঞ্চলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক রমজান আলী প্রামানিক, পরিকল্পনা নকশা ও গবেষণা বিষয়ক অতিরিক্ত মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা,পরিকল্পনা বিষয়ক প্রধান প্রকৌশলী ড.শ্যামল চন্দ্র দাস,তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার সাহা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উত্তরাঞ্চল জোনের সকল নির্বাহী প্রকৌশলী,নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাগন,জনপ্রতিনিধিগণ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here