• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

পাটগ্রামে জনপ্রিয় হচ্ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

লালমনিরহাট  লালমনিরহাটের পাটগ্রামে পুষ্টিবাগান প্রকল্পের মাধ্যমে সবজির চাহিদা পূরণ হচ্ছে উপজেলার  মানুষের। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান প্রকল্পের আওয়তায় প্রতি ইউনিয়নে একশতটি  পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান স্থাপন করা হবে।

উপজেলা কৃষি বিভাগের সহায়তায় স্থানীয়রা এখন নানা ধরনের সবজি চাষাবাদ করছেন।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূএে জানা গেছে,  পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান প্রকল্পের  আওয়তায় একজন কৃষক তিন মৌসুমের জন্য বছর ব্যাপী ২১ ধরনের সবজি বীজ,বেড়ানেট,ঝাঁজরি, ৬টি ফলের চারা ও জৈব সার পাবেন।উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভা মিলে ৪৬৩ টি পারিবারিক সবজি পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়েছে।

বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও পতিত জমিতে গাজর, লাউ, সিম,কপি, নানা ধরনের শাকসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করছে কৃষকরা।স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে বীজ,সার প্রদান করা হচ্ছে চাষীদের।নিয়মিত তদারকি আর পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন কৃষি অধিদপ্তরের লোকজন। ফলে পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগান তৈরিতে আগ্রহী হচ্ছেন অনেকেই।

পারিবারিক সবজি পুষ্টি বাগানে উৎপাদিত এসব সবজি নিজ বাড়িতে থাকায় এখন আর কৃষকদের বাড়তি দাম দিয়ে বাজার থেকে কোন ধরনের সবজি কিনতে হচ্ছে না। ফলে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন সবজি চাষিরা।

বুড়িমারী ইউনিয়নের বেলতলী এলাকার কৃষক রহিদুল ইসলাম বলেন, পুষ্টি সবজি বাগান করে অনেক শাকসবজি চাষ করেছি।এখন আর বাজার থেকে কোন শাকসবজি কিনতে হয় না।এতে আমার অনেক উপকার হয়েছে। এদিকে এসব পুষ্টিবাগানের উৎপাদিত টাটকা আর বিষমুক্ত সবজি নিজের চাহিদা মিটিয়ে প্রতিবেশীদের মাঝেও বিতরন করছেন অনেকে।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: আব্দুল গাফ্ফার জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা এক ইঞ্চি জমিও যেন পতিত না থাকে। ঘোষনা বাস্তবায়নে কৃষি বিভাগ অনাবাদি প্রতিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরনসহ সকল ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here