• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

হিলির শূন্যরেখায় দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের মিলনমেলা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে হয়ে গেলো দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীদের সম্প্রীতির মিলনমেলা। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় সীমান্তের শূন্য আঙিনায় (মুক্তিযোদ্ধা স্কয়ার) অস্থায়ী বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়।

স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, পৌরসভা ও সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত এবং ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটি ও বালুরঘাট-মেঘালয় করিডোর কমিটি, রেইনবো সোসাইটি এই ভাষা দিবসের আয়োজন করে।

পরে দুদেশের শিল্পীরা আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কবিতা, নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। ভারতের বালুরঘাট রেইনবো সোসাইটি কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় ও সদস্য অন্যন্যা পাহান নৃত্য পরিবেশন করেন। প্রতি বছর বড় পরিসরে দুই বাংলার মিলনমেলা হলেও এবার ছোট পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় আয়োজক কমিটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- প্রশাসনের কর্মকর্তা, আওয়ামী লীগ, পৌরসভা, স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী সংগঠন, সামাজিক সংগঠন ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংবাদকর্মীরা।

ভারতের বালুরঘাট উজ্জীবন সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক উত্তরে রোববার পত্রিকার প্রকাশক সুরজ দাস বলেন, অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে হিলি শূন্যরেখায় দুদেশ মিলে আয়োজন হলো। এখনো অনেক মানুষ মুখোশ পরে আছে। আমাদের আরও সোচ্চার হতে হবে।

রেইনবো কালচারাল একাডেমির কর্ণধার শুভঙ্কর সাহেব রায় বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশ এসে ভাষা উদযাপন করবো। আজ আমি সার্থক। সব প্রতিকূলতা কাটিয়ে মাতৃভাষাকে বুকে লালন করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’

সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত পত্রিকার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বাংলার ভাষার সংস্কৃতি এক। সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে দুদেশের ভাষার বন্ধন থেকে আমাদের কেউ ছিন্ন করতে পারবে না। তাই প্রতি বছরের মতো এবারও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষার ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির বার্তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হিলি সীমান্তে এ আয়োজন হয়েছে। দিনটির জন্য বাংলাভাষী মানুষরা অপেক্ষায় থাকেন।

উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, সকালে অস্থায়ী শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর ছোট পরিসরে আলোচনা সভা, কবিতা আবৃত্তি, ছড়া, গল্প অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনের কার্যক্রম শেষ হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here