• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

৯ ধরে দিন অনশন, তবুও অন্যের সিঁথি রাঙালেন প্রেমিক

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

হিমেলের সঙ্গে ছয় বছরের প্রেম কলেজছাত্রীর। ওই প্রেমের জেরে তাদের মধ্যে ছিল গভীর সম্পর্ক। কিন্তু হঠাৎ শুনতে পান প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ে হচ্ছে। এমন খবরে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে আসেন প্রেমিকা। সম্পর্কের কথা জেনেও মানতে নারাজ প্রেমিকের পরিবার। কিন্তু প্রেমিককে পেতে অনশন করেন তিনি। ৯ দিন ধরে অনশন করেও সফল হতে পারলেন না প্রেমিকা। অন্য মেয়েকে সিঁদুর পরিয়েছেন প্রেমিক। ঘটনাটি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের।

শনিবার দুপুরে অনশনরত ওই কলেজছাত্রীকে তার বড় ভাই প্রেমিক হিমেলের বাড়ি থেকে নিয়ে যান। প্রেমিকের বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন কলেজছাত্রী। প্রেমিক হিমেল রায় দেবীগঞ্জ কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ উমাপতি রায়ের বড় ছেলে। তিনি বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। 

জানা যায়, ২০১৭ সালে হিমেল রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় এই কলেজছাত্রীর। একাধিকবার বিয়ের চাপ দিলে তা বিভিন্ন কৌশলে এড়িয়ে যান প্রেমিক। গত ১০ ফেব্রুয়ারি হিমেলকে তার পরিবার অন্যত্র বিয়ে করাচ্ছে, এমন খবরে প্রেমিকের বাড়িতে ছুটে যান ওই কলেজছাত্রী। বিয়ের দাবি জানান তিনি। কিন্তু ছেলের পরিবার না মানলে শুরু করেন অনশন। বিষয়টি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এ ঘটনার মধ্যেই প্রেমিক হিমেলকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন তার পরিবার। বিয়ের কিছু ছবি ফেসবুকে ভাইরাল হলে দুঃশ্চিন্তায় পড়েন মেয়ের পরিবার। আশ্চর্য হন স্থানীয়রাও। পরে অনশনের দশ দিনের মাথায় তরুণীর বড় ভাই তার বোনকে সেখান থেকে বাসায় নিয়ে গেছেন।

তবে ওই কলেজছাত্রী বলেছিলেন, হিমেলের সঙ্গে আমার ছয় বছরের প্রেমের সম্পর্ক। এ সময়ের মধ্যে অনেক কিছু হয়েছে। হঠাৎ হিমেলের অন্যত্র বিয়ে দেওয়ার কথা শুনে তার বাড়িতে ছুটে আসি। তার পরিবারকে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জানালে তারা না মেনে আমাকে তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে। অথচ চলতি মাসেই দিনাজপুর জজকোর্টে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে আমরা দুজনই বিয়েতে আবদ্ধ হওয়ার জন্য অঙ্গীকারনামা সম্পন্ন করি।

ভুক্তভোগীর বড় ভাই বলেন, আমার বোন অনেক দিন ধরেই এখানে আছে। প্রায় দশ দিন হলো। ন্যায়বিচারের আশায় এখানে এসেছিল। হিমেলকে ভালোবাসত। কিন্তু হিমেলের বাবা তাকে অন্যত্র বিয়ে দিয়েছেন। আমরা ন্যায়বিচার পাইনি। ছেলের পরিবার বিষয়টিকে টাকার মাধ্যমে মিটমাট করতে চেয়েছিল। আমরা গরিব হতে পারি, কিন্তু আমাদের কিছুটা হলেও আত্মসম্মান রয়েছে। তাই টাকার কাছে বোনের সম্মান বিক্রি করে দিতে পারি না। সে কারণে আমার বোনকে এখান থেকে নিয়ে যাচ্ছি। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here