• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

কুড়িগ্রাম পুলিশ বিভাগের ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ 

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৭ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

কোভিড-১৯ আতংকের মধ্যে রাতের আঁধারে অসহায়, দুস্থ ও মধ্যবিত্তদের ঘরে খাবার পৌছে দিচ্ছে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ বিভাগ। প্রাত্যহিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি গত দু’মাস ধরে প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবারে খাবার পৌঁছে দিয়েছে তারা। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান ও তার দলের চৌকশ অফিসারগণ রোদ-ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে এই মানবিক কাজটি করে যাচ্ছেন। শুধু শহর নয় দুর্গম চরেও পৌঁছে দেয়া হচ্ছে ত্রাণ সামগ্রী।


শহরের বাসিন্দা আসমা বেগম (৪৫) ও আফজাল হোসেন (৪০) জানান, ‘লাইনে দাঁড়াতে ভীষণ লজ্জ্বা করে। কারো কাছে নিজের অসহায়ত্বের কথা বলতে না পারায় লিস্টে নাম ওঠেনি কখনোই। এদিকে সংসারে চলছে দুর্দশা অবস্থা। এমন পরিস্থিতিতে লজ্জ্বা ত্যাগ করে এসপি স্যারকে আমরা ফোন দেই। তিনি সাথে সাথে নাম ঠিকানা লিখে নেন। এরপর গত রাত এগারটায় সত্যি সত্যি খাবার পৌঁছে দেন পুলিশ সদস্যরা।


কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পোড়ার চরের বাসিন্দা আকবর আলী জানান, সহযোগিতা চেয়ে এসপি’র নম্বরে এসএমএস করেছিলাম। খুব একটা আশা ছিলনা। কেননা চরের মধ্যে থাকি কে আর খোঁজ নেবেন। পরের দিন আমাকে ফোন দেয় পুলিশ। গিয়ে দেখি এসপি স্যারের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রির একটি প্যাকেট আমার জন্য নিয়ে এসেছে। সেখানে চাল, ডাল, আটা, তেল, আলু, লবণ ও সাবান ছিল। কৃতজ্ঞতায় আমার চোখ দিয়ে জল বেড়িয়ে পরে। আমি সে অনুভূতির কথা প্রকাশ করতে পারবো না। 
খাবার পৌঁছে দিতে আসা এটিএসআই কামরুজ্জামান, ইন্সপেক্টর সুমন জানান, ওইসব মানুষের হাতে এসপি স্যারের নামে যখন খাবার হাতে তুলে দেই তখন তাদের চোখে মুখে যে আনন্দ, হাসি আর কৃতজ্ঞতা ফুঁটে ওঠে তা দেখে সকল ক্লান্তি নিমেষেই মুছে যায়। স্যারের সাথে সারাদিন ডিউটি করার পর তারাবি নামাজ শেষে এসপি স্যারসহ কখনো ৮/১০ জনের টিম নিয়ে কখনো বা তার নির্দেশে আমরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে। 


বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান জানান, জেলা পুলিশের ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রায় দু’মাস ধরে চাল, ডাল, আটা, তেল, লবণ, আলুসহ বিভিন্ন পণ্য দিয়ে একটি প্যাকেজ তৈরি করা হয়েছে। জেলার ১১টি থানায় নিরাপত্তা দেবার পাশাপাশি ত্রাণ সহায়তার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে হরিজন সম্প্রদায়, দলিত সম্প্রদায়, শ্রমিকসহ প্রায় ৪ সহ¯্রাধিক পরিবার ছাড়াও ফেসবুক,ম্যাসেঞ্জার, এসএমএম এবং ফোন কলের মাধ্যমে এক হাজার মধ্যবিত্ত পরিবারকে খাদ্য সামগ্রি দেয়া হয়েছে। করোনার প্রাদুর্ভাব যতদিন থাকবে ততদিন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এই সহায়তা চালু থাকবে বলে জানান তিনি।

Place your advertisement here
Place your advertisement here