• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে ভাঙন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটি পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি ৭ বছরেও। সবশেষ ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ দলটির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এরপর থেকেই স্থায়ী কমিটির ১৯টি পদের বেশ কয়েকটি শূন্য। যোগ্য নেতা না থাকায় দীর্ঘদিনেও পূরণ হচ্ছে না এসব পদ। এদিকে বারবার পছন্দের লোককে সুপারিশ করেও পদ দখল করতে পারছেন না সিনিয়র নেতারা। ফলে ভাঙন দেখা দিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে।

বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, কাউন্সিলের পর ১৯টি পদের মধ্যে দুটি পদ শূন্য ছিল। পরবর্তীতে তিন সদস্যের মৃত্যু হয়। ফলে শূন্য পদের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫টি।

এদিকে অসুস্থ খালেদা জিয়ার রাজনীতিতে ফেরা অনিশ্চিত। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে পলাতক। সালাহউদ্দিন আহমেদ ভারতে। ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থ। রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় মাহবুবুর রহমান। এই অবস্থায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা মেতেছেন স্থায়ী কমিটির পদ দখলের লড়াইয়ে। কিন্তু, অন্তর্দ্বন্দ্ব-কোন্দলের কারণে পদ পাচ্ছেন না কেউই। এতে দলের ভেতরেই সৃষ্টি হয়েছে বিশৃঙ্খলা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্থায়ী কমিটিতে যোগ্য ও দূরদর্শী নেতাদের দেখতে চায় তৃণমূল বিএনপি। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় কিছু নেতা চায় নিজেদের পকেটের লোক স্থায়ী কমিটিতে ঢুকিয়ে ফায়দা লুটতে। এসব দ্বন্দ্বের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই অপূর্ণ থেকে যাচ্ছে পদগুলো।

বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট রফিক সিকদার বলেন, যাদের রাজনীতির ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে, রাজপথের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে- এমন নেতাদের স্থায়ী কমিটিতে নেয়া হবে। কিন্তু মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের দরদ বোঝেন-কদর করেন এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সব নেতাই ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের জন্য পদ চান।

বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, যারা যোগ্য নেতা খুঁজে বের করবেন তারাই তো পদে থাকার যোগ্য নন। সিনিয়র নেতাদের প্রতি তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আস্থা নেই। এ কারণে বিএনপির স্থায়ী কমিটির পদগুলো পূরণ হচ্ছে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, এতদিন বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। এবার ধরা পড়লো দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের ভাঙন। অভ্যন্তরীণ কোন্দল বিএনপির অনেক পুরনো রোগ। এ রোগের চিকিৎসা করাতে না পারলে তারা আর কোনোদিনই মাঠে দাঁড়াতে পারবে না। রাজপথে আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সঠিক পরিকল্পনার পাশাপাশি যোগ্য নেতাও খুঁজে বের করতে হবে বিএনপিকে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here