• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

ফখরুলের সিঙ্গাপুর সফর, চিকিৎসা নাকি ষড়যন্ত্র

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
পদযাত্রা কর্মসূচি বাদ দিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে বিএনপিতে এখন তোলপাড় শুরু হয়েছে। নয়াপল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ এবং অসন্তোষ লক্ষ্য করা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অল্প কয়েকজন নেতা বিষয়টি জানতেন কিন্তু কর্মীরা দলের মহাসচিবের সিঙ্গাপুর সফর নিয়ে একেবারেই ছিলেন অন্ধকারে। আর এ কারণেই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এবারের বিদেশ সফর নিয়ে কর্মীদের প্রশ্ন।

বিএনপির তৃণমূল এক নেতা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার এরকম করেন কেন? যখনই আন্দোলনের একটা গতি পায়, তখনই তিনি উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেন। যখনই আন্দোলনের ব্যাপারে নেতাকর্মীদের উৎসাহ তৈরি হয়, তখনই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিদেশে পালিয়ে যান। বিষয়টি স্বাভাবিক নয়।

বিএনপির কোনো কোনো নেতা মনে করেন, মির্জা ফখরুলের বিদেশে যাওয়ার ফলে আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কারণ, এর আগে তিনি জেলে ছিলেন, তখন আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। 

তবে দলের ক্ষুব্ধ কর্মীরা এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন। তারা মনে করেন, জেলে যাওয়া আর বিদেশ যাওয়া এক জিনিস নয়। কর্মীরা বলছেন, মির্জা ফখরুল জেলে যাওয়ার ফলে কর্মীদের মধ্যে আরো চাঙ্গা ভাব তৈরি হয়েছিল। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নেতাকর্মীরা আন্দোলনে আগ্রহী হয়েছেন। বিদেশ যাওয়াটি সম্পূর্ণভাবে এক ধরনের বিলাসিতা।

একজন কর্মী বলেন, খালেদা জিয়া যখন উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে পারছেন না, তখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সিঙ্গাপুরে গিয়ে আরাম-আয়েশে চিকিৎসা করেন কীভাবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সিনিয়র নেতা বলেন, দেশেই মির্জা ফখরুলের চিকিৎসা করা সম্ভব ছিল। তার এই বিদেশ যাওয়া রহস্যময় এবং এর পেছনে কোন ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে। দলের মহাসচিব হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করলেও দলে তার অবস্থান সবসময় নড়বড়ে ছিল। এক ধরনের বিশ্বাস এবং গ্রহণযোগ্যতা ঘাটতিতে সব সময় ছিলেন মির্জা ফখরুল। তাই দলের অনেক নেতাকর্মী তাকে খুব একটা বিশ্বাস করে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেন, খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে চিকিৎসা নিচ্ছেন না। তাকে বাংলাদেশে রেখে নেতাদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসা নেয়া নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।

Place your advertisement here
Place your advertisement here