• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

অবিরাম বর্ষণের কারণে বিপর্যস্ত রংপুরে জনজীবন

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

 
বাংলা পঞ্জিকায় আষাঢ়-শ্রাবণ দুই মাসে বর্ষাকাল। সে হিসেবে বর্ষা শেষ হয়েছে অনেক আগেই। অথচ চলমান শরতের মধ্য ভাগে এসে শুরু হয়েছে ঝুম বৃষ্টি। অবিরাম বর্ষণের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রংপুরে জনজীবন। দিনমজুর ও শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে বের হতে পারছেন না বাড়ি থেকে। 

আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার বেলা ১২টা থেকে রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত) রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৩০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ৪১৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার। আর শুধু রংপুরে ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর নগরীর লালবাগ, খামার মোড়, নেসকো গেট, নূরপূর, কামাল কাছনা, মাহিগঞ্জ, বোতলা, নিউ জুম্মাপাড়া, পূর্ব জুম্মাপাড়া, তাজহাট, বাবুপাড়া, মহাদেবপুর, কামারপাড়া, শালবন, মিস্ত্রিপাড়া, দর্শনা, আশরতপুর, ধাপ এলাকা, মুন্সিপাড়া, হনুমানতলা, মুলাটোল, মেডিকেল পাকার মাথা ও জলকরসহ বিভাগের আট জেলার বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে অবিরাম বর্ষণের কারণে তিস্তাসহ রংপুর অঞ্চলের নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে। আবার কোথাও কোথাও দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। 

রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকার মাইদুল ইসলাম বলেন, ঝুম বৃষ্টিতে সর্বত্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক দিয়ে ঠিকমতো চলাচল করা যাচ্ছে না।

খামার এলাকার তুষার হোসেন বলেন, ড্রেনের মুখগুলো ময়লা-আবর্জনায় বন্ধ তাই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ।

পীরগাছা উপজেলার ছাউলা ইউনিয়নের তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা আয়নাল হক বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে তিস্তার পানি বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বাড়িঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। 

রংপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগে ১ হাজার ৩'শ দশমিক ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর মধ্যে নীলফামারীর সৈয়দপুরে সর্বোচ্চ ৪১৫স দশমিক ৪ মিলিমিটার এবং রংপুরে ১৬২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া দিনাজপুরে ৩১৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার, নীলফামারী ডিমলায় ২০৪ দশমিক ৭, পঞ্চগড়ে ১৩৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। যা এ মৌসুমে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। আরও দুই দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) তিস্তা ব্যারেজ ডালিয়া শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা-উদ-দৌলা  বলেন, নদ-নদীতে পানি বাড়তে শুরু হলেও এখন পর্যন্ত বন্যার কোনো আশঙ্কা নেই। তিস্তা নদীর পানি ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শনিবার একই পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here