• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কারি পাতা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২২ আগস্ট ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

অনেকেই খাবারে মসলা হিসেবে কারি পাতা ব্যবহার করেন। নিম পাতার মতো দেখতে এ পাতা মিষ্টি নিম কিংবা বারসুঙ্গা নামেও পরিচিত। এ পাতা ভারতীয় উপমহাদেশে অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। প্রায়শই ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে সাধারণত একে ‘কারি পাতা’ বলা হয়।

কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, এ, ই। এসব কারণে এ পাতা ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুণ বাড়ায় এবং এর মাধ্যমে রূপচর্চাতেও বহু উপকার পাওয়া যায়।

চকচকে সবুজ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমাণ ঠিক রাখে। লিভারের জন্য কারি পাতা বেশ উপকারী।

১. ‘জানার্ল অফ ফার্মাকোলজি অ্যান্ড টক্সিকোলজি’তে বলা হয়েছে, কারি পাতায় থাকা ফ্ল্যাভনয়েড কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চিকিৎসকেরা বলছেন, কারি পাতার ‘অ্যান্টি-মিউটেজেনিক’ গুণ ক্যানসার দ্রুত ছড়িয়ে পড়া আটকায়।

২. বেশি বয়সে মস্তিষ্কের স্নায়ুর জটিল রোগ অ্যালঝাইমার্স প্রতিহত করতেও সাহায্য করে কারিপাতা। কারিপাতার নির্যাসে বিভিন্ন রকম অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে, যা মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলিকে সুরক্ষিত রাখে এবং স্মৃতিশক্তি ধরে রাখতেও সাহায্য করে।

৩. সকালে উঠেই খালি পেটে বেশ কয়েকটি কারিপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন। এই অভ্যাসে হার্টের বহু সমস্যা ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। নিয়মিত কারিপাতা খেলে রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

৪. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও উপকরী এই কারিপাতা। এই পাতায় থাকা বিভিন্ন যৌগ ডায়াবিটিসের ফলে হওয়া কিডনির ক্ষতিও প্রতিহত করতে পারে।

৫. কারিপাতায় রয়েছে কারবাজোল এবং অ্যালকালয়েড্‌স। যা শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষ ভাবে কাজ করে। ডায়েট এবং শরীরচর্চা পাশাপাশি সকালে খালি পেটে বা রান্নায় নিয়মিত কারিপাতা খেলে মেদ ঝরবে দ্রুত। হজমের সমস্যা হলেও কারিপাতা নিয়ম করে চিবিয়ে খেলে উপকার পাবেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here