• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

সন্তান লালন-পালনের সেরা কয়েকটি বৈজ্ঞানিক উপায়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আধুনিক জীবন-যাপন  অনেকাংশে ইন্টারনেট নির্ভর। পরিবার, প্রতিবেশী বা আপনার সন্তানের শিক্ষক, সবাই আপনাকে অভিভাবকত্বের পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই সব মানুষের কথা শুনে বাবা-মায়ের উপর চাপ পড়াটা স্বাভাবিক। কখনো-কখনো আপনার মনে হতে পারে বাচ্চার জন্য আপনি যা করে চলেছেন তা হয়তো সঠিক নয়। বাচ্চাকে মানুষ করতে হলে কোনটা সঠিক পদ্ধতি আর কোনটি বা ভুল এই নিয়ে তীব্র দিধা-দ্বন্দের মধ্যে পড়তে হয় বাবা-মায়েদের।

সাম্প্রতি ডোরসা আমির নামে উন্নয়নমূলক এক বিজ্ঞানী কিছু টিপস দিয়েছেন তার টুইটারে। এবার জেনে নিন আপনিও।কীভাবে শিশুরা আমাদের সংস্কৃতি থেকে বেড়ে ওঠে এবং তা থেকে কী কী শিক্ষা নেয়।সবকিছু থেকে শেখার প্রয়োজন নেই  শিশুদের খেলাধুলা এবং বিনোদনের জন্য খেলা-ধুলো করা দোষের কিছু নেই। তবে এর থেকে সন্তান যে অনেক কিছুই শিখে যাবে তেমনটা কিন্তু নয়। শিশুরা তাদের নিজের ইচ্ছায় যা করে তা থেকেও অনেক কিছু শেখেও, তাই আপনাকে তাদের শেখার উপর সব সময় মনোযোগ দেওয়ার দরকার নেই।

বোর হতে দিন: শিশুদেরও বোর হওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত। এটি মানুষের অভিজ্ঞতার একটি অংশ। শিশুরা যদি বিরক্ত হয় তবে দোষের কিছু নেই। আপনার বাচ্চাকে সব সময় বিনোদনমূলক ব্যবস্থা নাও করতে পারেন। শিশুকে তার নিজের চিন্তা করার এবং তার পছন্দের কাজটি খুঁজে বের করার সুযোগ দিন।

নিজেকে সমস্যা সমাধান করতে দিন: আপনি কী সেই ধরনের অভিভাবক যিনি সবসময় সন্তানকে সব রকমের দ্বন্দ্ব বা ঝামেলা থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করেন? স্কুল বাস হোক বা খেলার মাঠ, আপনি সর্বত্র তাকে রক্ষা করে চলেছেন। এটি একেবারেই ঠিক নয়।একজন অভিভাবক হিসেবে ভুল পথে নিয়ে যাচ্ছেন সন্তানকে। আপনার সন্তানকে সামাজিক পার্থক্যের মুখোমুখি হতে দেওয়া উচিত।

খেলায় সময় বাচ্চারা তাদের সতীর্থদের সঙ্গে একমত নাও হতে পারে। এতে দোষের কিছু নেই, বরং এটি একটি ভালো জিনিস। বাচ্চারা যদি পারে তাদের নিজেদের সমস্যার সমাধান করুক। নেতিবাচক আবেগ খারাপ নয়, বরং এই আবেগ আপনার সন্তানকে শক্তিশালী করবে এবং কীভাবে এই ধরনের পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে হয় তাও শেখাবে।

শিশু থেকে দূরে থাকুন: অনেক বাবা-মায়ের পৃথিবী কেবলমাত্র তাদের সন্তানকে ঘিরেই আবর্তিত হয়। বাবা-মা হওয়ার পরে তারা তাদের সন্তানের মতো করে জীবন পরিবর্তন করে। আপনাকে প্রতিবার এবং সব সময় আপনার সন্তানের জন্য আপনার পছন্দটি ত্যাগ করতে হবে এমন কোনো কারণ নেই কিন্তু।

সূত্র: এই সময়

Place your advertisement here
Place your advertisement here