• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) সংবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় চার তরুণকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।

এর আগে একই দিন সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর চাচা চার তরুণের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

গ্রেফতাররা হলেন, জেলার তেঁতুলিয়ার দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০), মাগুড়া দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে নাহিদ হাসান (১৭ বছর), দর্জিপাড়া বাগানবাড়ি এলাকার সাইফুলের ছেলে সাব্বির হোসেন (১৯) ও দর্জিপাড়া বাগানবাড়ি এলাকার আব্দুল জলিলের ছেলে রেদোয়ান হোসেন রতন (১৭)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা বলেন, ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীর বাড়ি নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায়।গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি বাসযোগে তেঁতুলিয়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া বাজার থেকে দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় দর্জিপাড়া গ্রামের বুড়া ঠাকুরের আস্তানায়। সেখানে একটি ঘরে রাতে আব্দুল্লাহসহ দুইজন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সকালে দর্জিপাড়া ফরেস্টে নিয়ে আব্দুল্লাহ, নাহিদ, রতন ও সাব্বিরসহ ৬ থেকে ৭ জন তরুণ পালাক্রমে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।

এর মাঝে শুক্রবার রাতে ওই তরুণীকে দর্জিপাড়া ফরেস্টে দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। সীমান্ত এলাকায় হওয়ায় রাতেই বিজিবির সহযোগিতায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে এই চার তরুণকে তাদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।

পরে শনিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ওই কিশোরীর চাচা গ্রেফতার চার তরুণ ও অজ্ঞাতনামা ২/৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা আরো বলেন, আমরা যৌথ অভিযানে দ্রুত ধর্ষণের সাথে জড়িতদের মধ্যে চার তরুণকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি। গ্রেফতাররাও আমাদের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তাদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাওয়া হবে। একই সাথে অন্য আসামিদেরও গ্রেফতারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ধরনের ঘটনা এড়াতে আমরা তৎপর রয়েছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লা, তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান আলী প্রমুখ।

Place your advertisement here
Place your advertisement here