• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

Find us in facebook

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত বেড়ে ৩৭ হাজার ৪৩১

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বর্বর হামলায় নিহতের মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। উপত্যকাটিতে হামলায় সর্বশেষ আরো ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হন। 

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু এ তথ্য জানিয়েছে। গত অক্টোবর থেকে চলা এ হামলায় ৮৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আনাদোলু।

এক প্রতিবেদেন বার্তা সাংস্থাটি জানায়, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের লাগাতার হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৪৩১ জনে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।

টানা আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এ হামলায় আরো অন্তত ৮৫ হাজার ৬৫৩ জন আহত হয়েছেন বলে মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে চারটি ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে এবং এতে ৩৫ জন নিহত এবং আরো ১৩০ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন। উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এ ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।

গত ৭ অক্টোবর আন্তঃসীমান্ত হামলা চালায় হামাস। এরপরই ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা।

জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।

অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে ইসরায়েল।

Place your advertisement here
Place your advertisement here