• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

দুধের সঙ্গে জাফরান খেলে গর্ভের বাচ্চার গায়ের রং ফর্সা হয়

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় নারীর সর্বোচ্চ যত্ন প্রয়োজন, কারণ তার মধ্যে বেড়ে ওঠে আরেকটি প্রাণ। মায়ের থেকে পুষ্টি নিয়ে বেড়ে ওঠে গর্ভে সন্তান। তাই মায়ের খাবারের দিকে বাড়তি নজর দিতে হয় এই সময়ে। অনেক নারী সুস্থ থাকার জন্য জাফরান বা স্যাফরন খান। অনেকে একে কেশর বলেন। যে নামেই বলা হয় এটা দারুণ উপকারী।

প্রচলিত আছে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় দুধের সঙ্গে জাফরান খেলে গর্ভের সন্তানের গায়ের রং ফর্সা হয়। কথাটি কতটা সত্যি তা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।

ভারতের মাদারহুড হাসপাতালের প্রসূতি পরামর্শদাতা ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুরভী সিদ্ধার্থ বলেন, জাফরানে এমন কোনো জাদুকরী বৈশিষ্ট্য নেই যা শিশুর ত্বকে প্রভাব ফেলবে। জাফরান খেলে শিশুর গায়ের রঙে কোনো প্রভাব পড়ে না। জাফরান শিশুর গায়ের রং ফর্সা করবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে এটি প্রমাণিত হয়নি। একটি শিশুর চুল, ত্বক এবং চোখের রং জেনেটিক্যালি নির্ধারিত হয়।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জাফরান খাওয়ার উপকারিতা
জাফরানের নানা উপকারিতা আছে। বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় জাফরান খাওয়া শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন অনেক চিকিৎসক।   

জাফরানের উপকারিতা নিয়ে  ডা. সুরভী বলেন, জাফরান অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা মা এবং সন্তানের জন্য ভালো। এছাড়া গর্ভকালীন প্রদাহ দূর করার ক্ষমতার কারণে মায়েদের খাদ্যতালিকায় জাফরান অন্তর্ভুক্ত করতে বলেন অনেক চিকিৎসক।

এছাড়া জাফরানে অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট উপাদানও থাকে। এ কারণে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং উদ্বেগ কমানোর ক্ষেত্রেও কেশর প্রভাব ফেলে। ফলে মায়ের ওপর মানসিক চাপ কম পড়ে।

বিভিন্ন হরমোনের মাত্রা ওঠানামা করে এই সময়ে। তার জেরে শরীরের নানা অংশে ব্যথা, টান ধরার সমস্যা হয়। প্রায় সময়ে তা অসহনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু নিয়মিত জাফরান খেলে এ সবের থেকে অনেকটাই মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কারণ জাফরান ব্যথা কমানোর ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। পেশি নমনীয় হয়। তার সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। 

হবু মায়েদের অনেকে রক্তশূন্যতায় ভোগেন বলে চিকিৎকরা আয়রন সমদ্ধ খাবার খেতে বলেন। প্রতিদিন কিছু পরিমাণ জাফরান খেলে আয়রন এবং হিমোগ্লেবিন মাত্রা বিপদহীন মাত্রায় থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে কেশর দুধ খেলে ভালো মেজাজে ঘুম এবং ত্বকের নানারকম সমস্যাও দূর হয়।

সাবধানতা
জাফরানের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথাও জানিয়েছেন ডা.সুরভী। তিনি জানান, কিছু মায়েদের ক্ষেত্রে জাফরান খাওয়ার পর বমি বমি ভাব হয় এবং উদ্বেগ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, সমস্যা গুরুতর হলে নাক দিয়ে রক্তপাতও হতে পারে। তাই অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

Place your advertisement here
Place your advertisement here