• শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪ ||

  • কার্তিক ২ ১৪৩১

  • || ১৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

Find us in facebook

কাশি দূর করতে সহায়ক কাঁঠালীচাঁপা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ৩ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

কবি আল মাহমুদের কবিতায় আছে- ‘আম্মা বলেন পড়রে সোনা, আব্বা বলেন মন দে, পড়ায় আমার মন বসে না কাঁঠালচাঁপার গন্ধে।’ মিষ্টি গন্ধ আর হলুদ সৌন্দর্যে মন কাড়ে কাঁঠালচাঁপা ফুল। বাংলাদেশে এই ফুলের কদর কম হলেও সবাই তার সৌন্দর্য আর বিভ্রম তৈরির দক্ষতায় মুগ্ধ হন। বাংলার কবি-সাহিত্যিকরাও তাদের সাহিত্যে কাঁঠালচাঁপাকে তুলে এনেছেন বারবার।

কাঁঠালীচাঁপা বা কাঁঠালচাঁপা একটি বড় আকারের কাষ্ঠল লতানো গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর বৈজ্ঞানিক নাম Artabotrys odoratissimus। এটি  'Annonaceae' পরিবারভুক্ত এবং Artabotrys গণভুক্ত এক প্রকার উদ্ভিদ ও তার ফুল। কাঁঠালীচাঁপার রং সবুজাভ হলুদ এবং পাকা কাঁঠালের মত তীব্র ঘ্রাণযুক্ত; এ কারণেই এর নাম হয়েছে কাঁঠালচাঁপা। এই গাছ আকারে বিশাল বলে ছোট বাগানের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। এটি ছাঁটাই করে সুন্দর রাখতে হয়। ছোট ডালগুলো কাঁটায় রূপান্তরিত হতে পারে। পাতা উজ্জ্বল সবুজ, আয়ত-ভল্লাকার।

কাঁঠালীচাঁপা গাছে সারা বছরই ফুল হয়, তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ফুল বেশি হয়। অপরিণত ফুলের রং কাচা সবুজ, পরিণত হলে পাকা কাঁঠালের গন্ধ ছড়ায়। বিশেষ করে রাতের বেলায় ফুলটি গন্ধ ছড়ায়। এভাবে অনেকেই ফুল শনাক্ত করেন। রং হলদেটে বা সোনালি হলুদ, কাক্ষিক, পাপড়ির সংখ্যা ৬ এবং খোলা। ফুলের বোঁটা বাঁকা, আঁকশির গড়ন। গুচ্ছবদ্ধ ফল গোলাকার, দেখতে অনেকটা আঙুরের থোকার মতো এবং পাখিদের প্রিয় বীজ বা কলমের মাধ্যমে এর বিস্তার ঘটানো হয়। কাঁঠালীচাঁপা কষ্টসহিষ্ণু গাছ। সেজন্য রোদ-বৃষ্টি ছাড়াও বেঁচে থাকতে পারে। তাই ঘরের ভেতরে টবেও লাগানো হয় এ গাছ।

বনসাই করার জন্য উপযুক্ত গাছ কাঁঠালচাঁপা। লতানো উদ্ভিদ বলে ইচ্ছেমতো আকার দেওয়া যায়। ঘরের ভেতরে ছায়ায় বেঁচে থাকতে পারলেও সেভাবে রাখলে ফুল ফোটে না কাঁঠালচাঁপায়। ফুল ফোটার জন্য বৃষ্টির প্রয়োজন হয়। এই গাছ বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ চীন, মায়ানমার, ফিলিপাইন ও ভারতবর্ষে জন্মে। এই গাছের নানান ঔষধি গুণাগুন রয়েছে।

ঔষধি গুণাগুণ

১. কাঁঠালীচাঁপার ফুল শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তের সমস্যা ভালো হয়।

২. হৃদজনিত সমস্যা দেখা দিলে কাঁঠালীচাঁপার ফুল শুকিয়ে গুঁড়ো করে হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

৩. কাঁঠালীচাঁপার গাছের শিকড় সিদ্ধ করে এই ক্বাথ খেলে কাশি কমে যাবে।

৪. নাসাপ্রদাহ রোগ হলে নাক বন্ধ হয়ে যায়। এরকম সমস্যা দেখা দিলে কাঁঠালীচাঁপার ফুল শুকিয়ে গুঁড়ো করে গরম পানির সঙ্গে খেলে উপকার পাওয়া যায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here