• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

বেশি পানি খাওয়া যাদের জন্য ক্ষতিকর

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

সুস্বাস্থ্যের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা জরুরি। তাই বলে সবাই কিন্তু যত ইচ্ছে পানি পান করতে পারেন না। যদিও তেষ্টার সঙ্গে অনেক রোগ নিরাময়েও পানির বিকল্প কিছু নেই, অন্যদিকে কিছু অসুখে পানিও হয়ে যায় শত্রু। তখন কিন্তু পানিপানে রাশ টানা জরুরি।

যাদের এটা মাথায় রাখতে হবে: কিছু অসুখ আছে যেগুলোর কারণে শরীর থেকে পানি বেরোতে পারে না, যার ফলে জমা পানি শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ক্ষতিসাধন করে। এই রোগে আক্রান্তদের পানিপান কম করা উচিত। সেই রোগগুলোর মধ্যে অন্যতম রেনাল ফেলিওর অর্থাৎ ক্রনিক কিডনির অসুখ, হার্ট ও লিভার ফেলিওর, ডাইলুশন‌্যাল হাইপো ন্যাট্রিমিয়া (শরীরে বেশি জল জমে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যাওয়া) প্রভৃতি।

কখন বুঝবেন নিয়ন্ত্রণ দরকার: রেনাল ফেলিওর রোগে আক্রান্তরা শরীর থেকে পর্যাপ্ত পানি বের করে দিতে পারে না। যার ফলে বিশেষ কিছু শারীরিক লক্ষণ প্রকাশ পায়। মুখমণ্ডলে ফোলা ভাব, পা ফোলা, শোয়া অবস্থায় কাশি ও শ্বাসকষ্টের মাত্রা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি, কাশির সঙ্গে রক্ত বের হতে পারে। এছাড়া মাঝরাতে শোয়া অবস্থায় প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের জন্য রোগীর অক্সিজেনের অভাব ও শ্বাসের সমস্যা দেখা দেয়। সঠিক সময়ে লক্ষণ সম্পর্কে সজাগ হতে না পারলে রোগীর শরীরে প্রচুর পানি জমে রক্তে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় ও রোগী হার্ট ফেলিওরের সম্মুখীন হতে পারেন। যা বিপদ ডেকে আনে এবং মৃত্যু হতে পারে।

সতর্কতা প্রয়োজন: যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে, তাদের সারাদিনে যতটা পরিমাণ প্রস্রাব নির্গত হয় ঠিক ততটা পরিমাণই পানিপান করা উচিত। সেই জন্য ২৪ ঘণ্টায় নির্গত প্রস্রাবের মাত্রা খেয়াল রাখা দরকার। যদি কোনো রোগীর কিডনি আগে থেকেই বিকল থাকে ও শরীরে পানি জমতে থাকে, সে অবশ্যই কম পানিপান করবে। তবে কিডনির সমস্যার আসল চিকিৎসা ওষুধ ও তাতে কাজ না হলে পরবর্তী ধাপে ডায়ালাইসিস ভরসা। হার্টের অসুখে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সেই রোগীর হার্ট ফেলিওর হতে থাকে, হার্ট বিকল হলেই ফুসফুস ও পার্শ্ববর্তী অংশে পানি জমতে শুরু করে, যা প্রাণঘাতী। সেই মুহূর্তে যত দ্রুত সম্ভব নিকটবর্তী হাসপাতাল বা ক্লিনিকে গেলে ইনজেকশন, ওষুধের মাধ্যমে শরীর থেকে পানি বের করে রোগীর প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়।

বুঝে পান: তবে উল্লেখযোগ্য, পানি কখনোই প্রচুর বেশি বা একেবারেই কম পান করা অনুচিত। মনে রাখবেন, যারা দিনে ১০ লিটারের বেশি পানিপানে অভ্যস্ত, তাদের ব্রেনে পানি জমে ব্রেন নষ্ট হবার সম্ভাবনা প্রবল। কিডনি ও হার্টের রোগী ছাড়া বাকিদের বিশেষ কোনো রোগ না থাকলে তারা নির্দিষ্ট মাত্রায় পানি পান করতেই পারেন। ভারতীয় প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে আবহাওয়া ও খাদ্যের পরিমাপ অনুযায়ী সারাদিনে তিন লিটার পানি পান করলে শরীর থেকে টক্সিক উপাদান বেরিয়ে যায়। ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী সারাদিনের পানীয়র মধ্যে পানি ছাড়াও ডাল, ডাবের পানি, চা, কফি, দুধ, ফলের রস জাতীয় ফ্লুইডকেও ধরা হয়। শরীরে পানি জমার যেকোন লক্ষণ প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গেই সত্বর ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। রোগীর কো-মর্বিডিটি অনুযায়ী তার ডায়েট ও পানির পরিমাণ শুধুমাত্র ডাক্তাররা বিচার করবেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here