• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

দাদের কারণ ও লক্ষণ

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

দাদ এক ধরণের চর্ম রোগ। শরীরের যেকোনো অংশে গোল চাকতির মতো গুঁড়ি গুঁড়ি ওঠে, অনেক চুলকায় ও লাল হয়ে যায়। একে দাদ বলা হয়। দাদ কেন হয়? দাদ এক ধরণের ছত্রাকের কারণ। এটা সক্রমণ রোগ। মূলত অপরিষ্কার স্থানগুলোতে এটি হয়ে থাকে। স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়াতে ছত্রাকের জন্ম হয়। অপরিষ্কার, একই কাপড় অনেক দিন ব্যবহার করা, না ধোঁয়া, নোংরা কাপড় ব্যবহার, সংক্রামণ রোগীর জামা কাপড় ব্যবহার করার ফলে দাদ হয়ে থাকে। আবার ছত্রাক আক্রান্ত রোগীর গামছা ব্যবহারেও দাদ রোগ হতে পারে।

দাদের লক্ষণ: চামড়ার ওপরে গোল একটা ক্ষত তৈরি হয়, সে ক্ষত যদি আস্তে আস্তে বাড়ে ও ভেতরের অংশ শুকিয়ে যায় আর বাইরের অংশ বাড়তে থাকে। বাইরের অংশ ফুসকুড়ির মতো হয়ে থাকে, কখনো জলপূর্ণ হয় আবার কখনো পুঁজ হয়ে থাকে। তখন এ জায়গায় প্রচুর চুলকাবে ও খুসকির মতো চামড়া উঠবে। তবে বুঝতে হবে দাদ হয়েছে। আর মাথায় যদি দাদ হয়ে থাকে তবে সে স্থানের চুল পড়ে যাবে। কোমড়ের কোথাও দাদ হলে সে স্থানের চামড়া পুরু হয়ে যাবে। আর নখে যদি দাদ হয় তবে নখ ভেঙে যাবে ও অসুস্থ হয়ে যাবে। আবার দাদের স্থান চুলকালে পানির ন্যায় বের হবে। এসব লক্ষণগুলো দেখলেই দাদ হয়েছে বুঝতে পারবেন।

প্রতিকার: দাদ যে স্থানে হবে সে জায়গা সব সময় শুকনো রাখতে হবে। সাবান বা তেল ঐ জায়গাতে ব্যবহার করা যাবে না। জায়গাটা খোলা রাখতে হবে। পোশাক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এক দিন পর পর ধুঁয়ে নিতে হবে। হালকা গরম পানি নিয়ে এর মধ্যে সাবান ভিজিয়ে জামা কাপড় পরিষ্কার করে নিতে হবে। তা না হলে দাদ আস্তে আস্তে ছড়িয়ে পড়বে। যা শরীরের জন্য খুবই কষ্টকর। তবে বেশি সমস্যা মনে হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। দাদ যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে ও ঘর বাড়িও পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরে যাতে পর্যাপ্ত আলো বাতাস ঢুকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাহলে এ ধরণের ছত্রাকজনিত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here