• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

ভিসা জালিয়াতি: যুক্তরাজ্যে চার বাংলাদেশিসহ ৫ জনের কারাদণ্ড

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

বাংলাদেশি জাল ভিসা পরিচালনা ও অর্থচুরির অভিযোগে চার বাংলাদেশি অভিবাসী এবং এক ভারতীয় নাগরিককে শুক্রবার কারাদণ্ড দিয়েছেন যুক্তরাজ্যের সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালত।

তাদের বিরুদ্ধে এইচএম রেভিনিউ এন্ড কাস্টমস (এইচএমআরসি) থেকে ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড চুরির অভিযোগ রয়েছে।

অভিযুক্তরা হলেন- লন্ডনের বেকটনের আলবার্ট বেসিন ওয়েতে বসবাসকারী আবুল কালাম মুহাম্মদ রেজাউল করিম (৪২), ডাগেনহামের হালবাট স্ট্রিটে বসবাসকারী করিমের শালা এনামুল করিম (৩৪), কাজী বরকত উল্লাহ (৩৯), সে. আলবান্সের জালপা ত্রিদেবী (৪১) এবং বেথনাল গ্রিনের উইটান স্ট্রিটের মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন (৪৭)।

বৃটিশ সংবাদপত্র টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতারণা চক্রের মূল হোতা আবুল কালাম মুহাম্মদ রেজাউল করিম বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তার সহযোগীরা ৩২টি ভুয়া কোম্পানি স্থাপন করে এবং বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য প্রায় ৯০০ নকল ভিসা আবেদনপত্র তৈরি করে।

করিমের অনুপস্থিতিতে ৩৫ সপ্তাহের বিচারকাজ শেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তাকে সাড়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এছাড়া ডাগেনহামের হালবাট স্ট্রিটে বসবাসকারী করিমের শালা এনামুল করিম (৩৪), কাজী বরকত উল্লাহ (৩৯), সে. আলবান্সের জালপা ত্রিদেবী (৪১) এবং বেথনাল গ্রিনের উইটান স্ট্রিটের মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিনকে (৪৭) দোষী সাব্যস্ত করেন আদালত।

সাউথওয়ার্ক ক্রাউন আদালতের বিচারক মার্টিন গ্রিফিথ বলেন, ‘অভিযুক্তদের উদ্দেশ্য ছিল ভিসা অনুমোদনের জন্য হোম অফিসকে বোকা বানানো। তারা প্রায় ৯০০ ভুয়া ভিসা আবেদন তৈরি করেছে এবং কর পরিশোধের ১৩ মিলিয়ন পাউন্ড অর্থ দাবি করেছে।’

আদালত জানায়, যুক্তরাজ্যে থাকতে অস্থায়ী ভিসা পাওয়ার জন্য অভিযুক্তরা ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে চার্জ (অর্থ) দাবি করতো। ভুয়া অভিবাসন সেবার জন্য তাদের সর্বনিম্ন চার্জ ছিল নগদ ৭০০ পাউন্ড।

কর্মকর্তাদের তদন্তে দেখা যায়, করিম, তার শালা এনামুল করিম (৩৪), কাজী বরকত উল্লাহ (৩৯), হিসাবরক্ষক জালপা ত্রিদেবী (৪১) এবং মোহাম্মদ তমিজ উদ্দিন (৪৭) ভিসা জালিয়াতি চক্রের সদস্য।

চক্রটি দাবি করে যে, কর এবং অভিবাসন জালিয়াতির অংশ হিসাবে তাদের ক্লায়েন্টরা কাজ করতো। তারা জাল পে স্লিপ তৈরি করতো এবং প্রায় ৯০০ ভিসা আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য প্রদান করতো, যাতে তারা ভিসার জন্য যোগ্যতা নিশ্চিত করতে পারে।

ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের ফৌজদারি ও আর্থিক তদন্ত (সিএফআই) দল চক্রটির দীর্ঘদিনের অন্যায় কাজের তদন্ত করেছে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here