ফিরে দেখা-১৯৭২: বঙ্গবন্ধু সরকারের এক হাজার কোটি টাকার কর্মসূচি
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৬ মে ২০২০
Find us in facebook
দেশে অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতা স্বাভাবিকীকরণ ও সার্বিক উৎপাদন বাড়িয়ে তোলার উদ্দেশ্যে সরকার একটি স্বল্পমেয়াদি পুনর্গঠন ও উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করেছে। ১৯৭২ সালে সদ্য জন্ম নেওয়া দেশের প্রথম অর্থবছরে, অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালের বাজেটের সঙ্গে দুই বছর মেয়াদে এক হাজার কোটি টাকার জরুরি কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। আগামী উন্নয়ন বাজেটের পরিমাণ ৩০০ থেকে ৩৫০ কোটি টাকা হতে পারে, এই অর্থ হবে এক হাজার কোটি টাকার পুনর্বাসন কর্মসূচির অতিরিক্ত। স্বল্প মেয়াদি পুনর্গঠন কর্মসূচি দেশের প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে শুরু থেকেই আন্দাজ করা যাচ্ছিল। বাজেট ও পুনর্বাসন কর্মসূচি ঘোষণার পরেই পাঁচশালা পরিকল্পনা তৈরি করার ইঙ্গিত ছিল।
প্রাথমিক হিসাবে বলা হয়েছে, এই চাহিদা হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে যে, জাতিসংঘের সংস্থাগুলো ১৯৭২ সালের এপ্রিল থেকে ১৯৭৬ সালের মে পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের প্রয়োজনের জন্য ৯৫ কোটি মার্কিন ডলারের একটি কর্মসূচি তৈরি করে। এরমধ্যে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের খাদ্যশস্য বিদেশ থেকে আমদানি করা হবে। তবে জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর এই হিসাবের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থার হিসাব, বিশেষ করে বাংলাদেশের পুনর্বাসন, যোগাযোগ ও খাদ্যের প্রয়োজন সংক্রান্ত যে হিসাব ধরা হয়েছে, তা নিতান্তই অপ্রতুল। ১৯৭২ সালের ১৬ মে বাসস পরিবেশিত খবরে উল্লেখ করা হয় যে, স্বল্পমেয়াদি পুনর্বাসন কর্মসূচির মূল লক্ষ্য হবে— আগামী দুই বছরের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা যাতে পাকিস্তানি সামরিক অভিযানের আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া যেতে পারে, সেজন্য শিল্প ও অন্যান্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে সবিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা। ওয়াকিবহাল মহল মনে করে যে, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলে এবং সময়মতো সব কিছু পাওয়া গেলে এ লক্ষ্যে অবশ্যই পৌঁছানো যাবে।
বাংলাদেশ-ভারত ২৪ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি
ঢাকায় এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ২৪ কোটি ১০ লাখ টাকার তিনটি পৃথক ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ভারতের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার সুবিমল দত্ত এবং বাংলাদেশের পক্ষে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সচিব কে এ রব্বানী চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের রেল সংস্থার পুনর্বিন্যাস, টেলিকমিউনিকেশন্স ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের যন্ত্রপাতির জন্য বাংলাদেশকে ১০ কোটি টাকা ঋণ দেবে ভারত, যা অতিরিক্ত সময়ে পরিশোধ করা যাবে। এছাড়া, দুটি জাহাজ ও এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে। তৃতীয় ঋণ চুক্তি অনুযায়ী ভারত 8 কোটি টাকার অপরিশোধিত তেল সরবরাহ করবে।
যুদ্ধাপরাধীদের রাখার জন্য ‘নিরাপত্তা এলাকা গঠন’
বাংলাদেশে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর যুদ্ধাপরাধের বিচারের উদ্দেশ্যে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় অর্ডিন্যান্স প্রণয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছিল। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তিন থেকে পাঁচ জন বিচারক নিয়ে ট্রাইব্যুনাল গঠিত হতে পারে। এদিকে বিচার চলাকালে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িতদের রাখার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে একটি পৃথক নিরাপত্তা এলাকা গঠনের কাজ চলছিল। একাত্তরের মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯ মাস বাংলাদেশে হানাদার খান সেনারা নারকীয় উল্লাসে যে হত্যা-গণহত্যা, অগ্নিসংযোগ, নারী ধর্ষণ ও লুণ্ঠন করেছে, তার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করা হবে। যে তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে— তার সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২শ’। এর মধ্যে জেনারেল থেকে জওয়ান রয়েছে।
যুদ্ধাপরাধের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত কাজ একটি বিশেষ তদন্তকারী দল চালাচ্ছিল। পুলিশের ডিআইজি নুরুল ইসলাম এ দলের অধিকর্তা। যুদ্ধের ব্যাপারে চূড়ান্ত তদন্ত কাজ ততদিনে সম্পন্ন হয়েছিল।
টিক্কা, নিয়াজী ও ফরমান আলীর যে অনুচরেরা মধ্যযুগীয় বর্বরতা ও নৃশংস তাণ্ডবলীলা চালিয়ে ৩০ লাখ লোককে হত্যা করেছে, তাদের বিচারের জন্য উন্মুখ আগ্রহে অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সম্প্রতি আবারও ঘোষণা করেন— ‘যুদ্ধাপরাধের বিচার ঢাকার মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে। এতে সংশয়ের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
- কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল আরিফুলের
- দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ পাঠাবে বাংলাদেশ
- মসজিদে কুবায় ২ রাকাত নামাজ আদায়ের ফজিলত
- এবার হিরোশিমার গল্প বলবেন জেমস ক্যামেরন
- ঢাবি-জাবিতে হত্যাকাণ্ড: জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
- উদ্ভূত পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পার্বত্য দুই জেলায় তিন উপদেষ্টা
- তোফাজ্জল হত্যায় ঢাবির ৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- বাংলাদেশকে পাঁচ শতাধিক রানের লক্ষ্য দিল ভারত
- এনআইডি সংশোধন: যে উদ্যোগে কমবে ভোগান্তি
- জুলাই বিপ্লবে শহীদের সংখ্যা অন্তত ১৪২৩ জন
- এনআইডি সংশোধনে জেলাভিত্তিক তথ্য চেয়েছেন ইসি সচিব
- সন্ধ্যার মধ্যে ছয় আঞ্চলে ঝড়ের আভাস
- দু’দিনের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে নিম্নচাপ
- মোবাইল কিনে না দেওয়ায় প্রাণ দিল স্কুলছাত্রী
- বাবার ২শ’ কোটি টাকার সম্পত্তির ভাগ পাচ্ছে না ৮ মেয়ে
- অসম প্রেম: গাছে চিঠি সাঁটিয়ে তুলে নেয়ার ঘোষণা, অতঃপর ‘অপহরণ’
- খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটির ঘটনা নিয়ে যা জানালো আইএসপিআর
- এস আলমের সম্পদের তথ্য চেয়েছে সিঙ্গাপুরের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা
- ৪ জেল সুপার বাধ্যতামূলক অবসরে
- বিনোদন বিচিত্রার সম্পাদক দেওয়ান হাবিব মারা গেছেন
- মেয়াদপূর্তির পরও টাকা ফেরত পাচ্ছেন না ৩ হাজার বিমা গ্রাহক
- ১৩ বছর পর চাকরি ফিরে পেলেন প্রধান শিক্ষক
- দুইজন একসঙ্গে সালাম দিলে কে উত্তর দেবেন?
- বরিশালের গ্যাংস্টারের গল্প, নায়িকা পিরোজপুরের পরীমনি
- এক বছরের মধ্যে লেবাননে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান হামলা ইসরায়েলের
- হেডের অপরাজিত শতকে অজিদের অনায়াস জয়
- যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে বিচারককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
- অতিরিক্ত ডিআইজি মশিউর রহমান গ্রেফতার
- সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান গ্রেফতার
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
- বিতর্কিত সেই সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক গ্রেফতার
- এবার সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামে হত্যা মামলা
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- রংপুরে শেখ হাসিনা-রেহানা-কাদেরসহ ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকদের
- বৃষ্টি ও বন্যার সময় করণীয় আমল
- শামা ওবায়েদ ও শহিদুল ইসলাম বাবুলের দলীয় পদ স্থগিত
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- নিবন্ধন পেল এবি পার্টি
- একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, বিএনপির দু`গ্রুপের সংঘর্ষ
- রবিউল আওয়ালের ফজিলত ও আমল
- স্মৃতিশক্তি বাড়ায় কারি পাতা
- ঘর-বাড়ি হেফাজতের দোয়া
- এক হাজার ২০৯ কোটি টাকার ঋণখেলাপি পলাতক রিপন
- আবু সাইদ হত্যায় দুই মামলা একসঙ্গে চলতে বাধা নেই
- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ ৪ এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- প্রশাসনিক শূন্যতায় স্থবির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস
- জুমার দিনের দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত
- রংপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি