• শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৬ ১৪৩১

  • || ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

বুথের সংখ্যা বাড়ছে করোনা পরীক্ষার আওতা বাড়াতে  

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৪ মে ২০২০  

Find us in facebook

Find us in facebook

করোনায় আরো বেশি নমুনা সংগ্রহ করতে বিভিন্ন স্থানে বুথের সংখ্যা বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরইমধ্যে বেসরকারি দুটি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে চলছে ঊনত্রিশটি বুথের কার্যক্রম। নমুনা দিতে আসা ব্যক্তিরা জানান, করোনা পরীক্ষার ফলাফল ছাড়া অন্য রোগের চিকিৎসা দিচ্ছে না সরকারি-বেসরকারি কোনো হাসপাতালই। ফল পেতে অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে তিন থেকে সাতদিন। এতে হার্ট, কিডনি, ক্যান্সারের মত গুরুতর রোগের চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে অনেকে।

রাজধানীর কড়াইলে বসবাসকারীদের বেশিরভাগই দরিদ্র মানুষ। তাদের সুবিধার্থে করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহে পল্লীবন্ধু এরশাদ বিদ্যালয়ে বসানো হয়েছে বুথ। 
বিদ্যালয়ে দুটি বুথ থেকে নমুনা সংগ্রহ চলছে। প্রতিদিন আশি জনের নমুনা সংগ্রহের সক্ষমতা রয়েছে। বুথ পরিচালনার দায়িত্বে থাকারা বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী এখানকার পরিবেশ ঠিক রাখতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সহায়তা চাওয়া হয়েছে।
নমুনা দিতে আসা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একইস্থানে করোনার উপসর্গ নিয়ে যেমন অনেকে আসছেন, তেমনি অন্য রোগের চিকিৎসা পাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে করোনা পরীক্ষা করাতে এসেছেন আরও বেশি মানুষ।


সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে কিংবা জ্বর-শাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছেন তিন  সাংবাদিক। এরইমধ্যে আক্রান্ত ঢাকাভিত্তিক অন্তত চল্লিশ সংবাদকর্মী। এই পরিস্থিতিতে সংবাদকর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের করোনা পরীক্ষার জন্য ডিআরইউতে বসানো হয়েছে বুথ। এখানে প্রতিদিন চল্লিশ জনের নমুনা সংগ্রহের সক্ষমতা রয়েছে। পরীক্ষা করাতে আসা সাংবাদিকরাও জানান, করোনা পরীক্ষার ফল ছাড়া মিলছেনা অন্য রোগের চিকিৎসা।
সাংবাদিক জান্নাতুল ফেরদৌসী বলেন, আমার পরিবারের একজন ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আছে। ১৩ই এপ্রিল তাকে কেমো থেরাপি দেয়া হয়েছে। এখন উনার একটা সার্জারি করতে হবে। কোন হাসপাতালেই করোনা টেস্ট ছাড়া ভর্তি নিচ্ছে না। আমরা ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনিস্টিটিউটে গিয়েছিলাম কিন্তু তারা করোনা টেস্ট ছাড়া ভর্তি নিবে না।

ডিআরইউ জানিয়েছে, সাংবাদিকদের যে কোনো সংগঠনের সদস্য ও তাদের পরিবার পরীক্ষা করাতে পারবে। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বলেন, এখানে শুধু সংক্রমণের পরীক্ষাই হবে না। সংক্রমণের পর যদি কারও পজিটিভ আসে তাদের যাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে কোন ধরণের হয়রানি না হয় আমরা সেই দায়িত্বও নিচ্ছি।


স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, জে কে জি হেলথকেয়ার ও ব্র্যাকের সহায়তায় এখন ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ২৯টি বুথে কার্যক্রম চলছে। শিগগিরই এই সংখ্যা বাড়ছে।  বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য গুলশানে বসছে আলাদা বুথ। 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আয়েশা আক্তার বলেন, আমরা যতদ্রুত সম্ভব ফলাফল দিতে চেষ্টা করছি। আগের তুলনায় এখন পরীক্ষার সংখ্যা অনেক বেড়েছে, তাই মাঝে মাঝে একটু দেরী হয়। তবে যাদের পজিটিভ আসছে তাদের ফলাফল আমরা আগে দেয়ার চেষ্টা করছি।

বুথে নমুনা দিতে হলে প্রত্যেককেই জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিতে হয়। পরে ওই নম্বরেই ফল জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। 

Place your advertisement here
Place your advertisement here