• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

তাদের প্রেম, কারো বিয়ে!

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৪ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

ঢালিউডের খুব পরিচিত ক’জন নায়িকার প্রেমের গুঞ্জন বা সত্যিকারের বিয়ের খবর যা আজো হয়ত অনেকের কাছে জানা-অজানার মধ্যে রয়ে গেছে, আজ পাঠকদের জানাবো তাদের প্রেম-বিয়ের খবর।


অপু বিশ্বাস

অপু বিশ্বাস। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন শাকিব খানকে। এর আগে, জুটি বেঁধে একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তারা। ২০০৮ সালে বিয়ে করেছিলেন ঢালিউডের এ সফল জুটি। সে সময় ধর্মান্তরিত হয়ে নামের সঙ্গে ইসলাম যুক্ত করে শাকিবকে মুসলিম ধর্মীয় রীতিতে কাছে টানেন অপু।

আব্রাম খান জয় নামের তাদের একটি পুত্রসন্তান আছে। দীর্ঘ সময় একসঙ্গে সংসার করলেও বিয়ের বিষয়টি শাকিব-অপু গোপন রেখেছিলেন। গত বছর সে খবর ফাঁস করে দেন অপু। যা মিডিয়ায় তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করে।এর আগে, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর দেশের বাইরের একটি হাসপাতালে জন্ম হয় শাকিব ও অপুর সন্তান আব্রাম খান জয়ের।বর্তমানে তাদের বিচ্ছেদ হলেও সন্তান জয় মায়ের সঙ্গেই থাকেন। পাশাপাশি বাবা ছেলেকে নিজের কাছে নিয়ে রাখেন।

মৌসুমী

১৯৯৩ সালে সালমান শাহ’র বিপরীতে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে নায়িকা হিসেবে অভিষেক হয় মৌসুমীর।ওই সময় চলচ্চিত্রটির নায়ক সালমান শাহকে জড়িয়ে তার প্রেমের গুঞ্জন চাউর হলেও পরে আরেক হার্টথ্রব নায়ক ওমর সানীর সঙ্গে মৌসুমীর প্রেমের খবর চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে।

যথারীতি অন্যান্যদের মত প্রথমে অস্বীকার, পরে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হন এই জুটি। এখনো মৌসুমী-সানির সুখী দাম্পত্য জীবন অনেকের কাছে ঈর্ষণীয়।

শাবনূর

১৯৯৩ সালে এহতেশামের ‘চাঁদনী রাতে’ চলচ্চিত্রের নায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটান নুপুর তথা শাবনূর। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তাকে পরিচালক এহতেশাম এই নামটি দিয়েছিলেন। শুরু থেকেই সাব্বির, সালমান শাহ, রিয়াজসহ অনেকের সঙ্গে তার প্রেমের খবর চাউর হতে থাকে। অনেক জল্পনা-কল্পনার পর ২০১৩ সালে শাবনূর গোপনে বিয়ের কাজটি সেরে ফেলেন।তবে বিয়ের পরও নায়িকার গাঁটছড়া বাঁধার তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তিও কম হয়নি। বিয়ের পর শাবনূর বলেছিলেন, ৬ ডিসেম্বর, আর তার বর অনীক মাহমুদ বলেছিলেন, ২৮ ডিসেম্বর। তাছাড়া বিয়ের সাল নিয়েও দ্বিমত ছিল দুজনের। শাবনূর ২০১১, তার বর ২০১২ বলেছিলেন!

বর্তমানে অনীক মাহমুদ ও শাবনূরের সংসারে আইজান নামে এক পুত্রসন্তান রয়েছে। বেশ ভালোই আছেন শাবনূর ও তার পরিবার।

পপি

নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে মনতাজুর রহমানের আকবরের ‘কুলি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে আবির্ভূত হন পপি। ওই সময় নায়ক শাকিল খানের সঙ্গে অভিনয় করেন ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’ চলচ্চিত্রে। পরে একসঙ্গে জুটি বেঁধে বেশ কিছু চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তারা দুজন।

এ জুটি প্রথম চলচ্চিত্র থেকেই প্রেমের গুঞ্জনের জন্ম দেন। একপর্যায়ে পপিকে স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেন শাকিল খান। কিন্তু পপির অস্বীকৃতিতে ঘটনা আদালতে গড়ায়। শেষ পর্যন্ত দুজন দুই মেরুতে চলে যান। আজো এই নিয়ে নানা কথা হয় গণমাধ্যমে। তবে এই সময়ে এসে বিয়ে করে পপি থেকে বেশ দূরে আছেন শাকিল খান।

পূর্ণিমা

মিষ্টি মেয়ে পূর্ণিমা। নব্বই দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিনিও পা রাখেন। সুদর্শন নায়ক রিয়াজের সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেক ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র উপহার দেন তারা। এরপর তাদের প্রেম কাহিনী সবার মুখে মুখে বাজতে থাকে। অবশ্য পরে আরো এক নায়ক ও নির্মাতার সঙ্গে পূর্ণিমার প্রেমের খবর রটে।পরে বাইরের কাউকে বিয়ে করায় পূর্ণিমার প্রেম উপাখ্যান আর দীর্ঘায়িত হয়নি। ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বরে পারিবারিকভাবে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন অভিনেত্রী পূর্ণিমা। স্বামীর নাম আহমেদ জামাল ফাহাদ। বিয়ের ৭ বছর পর ২০১৪ সালের ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তানের মা হন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। মেয়ের নাম আরশিয়া।

শাবনাজ

নব্বইয়ের দশকের শুরুর দিকে যখন গৎবাঁধা ছবি ও একই নায়ক-নায়িকা দেখতে দেখতে দর্শকরা বিরক্ত, তখনই ‘চাঁদনী’ নামক চলচ্চিত্রের মুক্তি ছিল স্বস্তির। প্রবীণ পরিচালক এহতেশাম অনেক ঝুঁকি নিয়ে এটি নির্মাণ করেন এবং সফল হন। এই ছবিটি সুপারহিট হয়।

ওই সময় এহতেশামের ‘চাঁদনী’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নায়িকা হয়ে আসেন শাবনাজ। চলচ্চিত্রে তার নায়ক ছিলেন নাঈম। এতে অভিনয় করতে গিয়ে ঘনিষ্ঠ হন দুজন। একসঙ্গে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ও করেন। শুরু থেকেই তাদের প্রেমকাহিনী মিডিয়ায় চাউর হয়। কিন্তু এ খবর তারা অস্বীকার করেন। অবশেষে ১৯৯৬ সালে বিয়ের পিঁড়িতে বসে অবসান ঘটান সব জল্পনা-কল্পনার।
 

Place your advertisement here
Place your advertisement here