• রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৭ ১৪৩১

  • || ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

মাতৃভাষা দিবস নিয়ে যা বললেন তারকারা

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

ফাল্গুনের শান্ত দুপুরে ১৪৪ ধারা ভেঙে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি যে মিছিল বেরিয়ে এসেছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে, তা আমাদের ইতিহাসের পাতায় গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউররা। তাদের বুকের তাজা রক্তের বিনিময়ে স্বীকৃতি পেয়েছে আমাদের মাতৃভাষা।

মাতৃভাষা দিবসে সকল শ্রেণির মানুষ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছেন ভাষা শহিদদের। পিছিয়ে নেই শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। তারা অনেকেই মনে করেন ৫২-র ভাষা আন্দোলনই আমাদের ’৭১-এর বীজ। সেই বীজের বৃক্ষ স্বাধীন দেশ উপহার দিয়েছে আমাদের। তারকাদের অনেকেই মাতৃভাষা দিবসের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ডেইলি বাংলাদেশকে। চলুন জেনে নিই তাদের প্রতিক্রিয়া-

নিরব হোসেন
ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা নিরব হোসেন বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন আমাদের একটি বিশাল অর্জন। পৃথিবীর একমাত্র ভাষা, যার জন্য রাজপথে প্রাণ দিতে হয়েছে এবং একই সঙ্গে গর্বেরও। আমি গর্ব করে বলতে পারি বাংলা ভাষায় কথা বলি। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি’ গানটি শুনলে এখনো ইমোশনাল হয়ে যাই। আমি ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।

সাবরিনা পড়শী 
শিল্পী ও অভিনেত্রী সাবরিনা পড়শী বলেন, সত্যি কথা বলতে কী আমার কাছে প্রতিদিনই শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আজ দিবস বলে ভাষা শহিদের স্মরণ করবো আর বাকি দিন করবো না, তা তো হয় না। আমার কাছে ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৬ ডিসেম্বর, ভালোবাসা দিবসের ব্যাপারটা প্রতিদিন থাকুক। পালন করতে হবে না, মাথায় থাকলে হবে। আজ আপনি ফুল দিয়ে শহিদদের শ্রদ্ধা জানাবেন, পরশু জানাতে দোষের কি! আমি মনে করি দোষের কিছু নেই। তবে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আমাদের যা দিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। তাদের জন্য আজ আমরা মন খুলে কথা বলতে পারছি, লিখতে পারছি। অন্যদিকে আজ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালান করবে। যার সূত্রপাত আমরা। এইটা আমাদের গর্বের বিষয়।

আরশ খান
ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা আরশ খান বলেন, আমি যে ভাষায় এখন তৃপ্তি করে কথা বলছি, তা ভাষা শহিদদের অবদানের জন্য। যে কোনো কিছুর জন্য রেভুল্যুশন হয়। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির রেভুল্যুশনে ছাত্র সমাজ শুধু ভাষাকে রক্ষা করেনি একটি বীজও বপন করেছে। স্বাধীনতার বীজ। যে বীজ থেকে একটা সময় আন্দোলনের বড় বৃক্ষে পরিণত হয় এবং আমরা স্বাধীনতা লাভ করি।

আমি দেশের বাইরে খুব একটা যেতে চাই না, কারণ আমার বাংলায় কথা বলতে ভালো লাগে এবং সহজে আমার মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি। যা অন্য ভাষায় আমার জন্য অতৃপ্তিদায়ক।   

সামিনা বাসার
এ প্রজন্মের এই অভিনেত্রী বলেন, আমি অনেকদিন দেশের বাইরে ছিলাম। নিজের ভাষায় কথা বলতে যে তৃপ্তি আছে তা অন্য কোথাও পাইনি। আমি প্রায় চারটি ভাষা জানি কিন্তু অন্য ভাষায় কথা বলে বা মনের ভাব প্রকাশ করে কখনো আনন্দ পাইনি। যতটা বাংলা ভাষায় কথা বলে পাই। এইটা আমাদের গর্ব এবং অহংকারের। শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমারা মাতৃভাষা পেয়েছি। যার মর্যাদা আমাদেরকেই দিতে হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here