• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

শিক্ষার্থীদের আচরণে বেরোবিতে বেড়েছে পাখির বিচরণ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জুন ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

১৫ বছরে পুরো ক্যাম্পাসে গাছের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৬ হাজারে। মোট ৪০০ প্রজাতির গাছ রয়েছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি)। এতে পুরো ক্যাম্পাস নৈসর্গিক সৌন্দর্যে আকৃষ্ট করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের। গাছের সংখ্যা বেশি হওয়ায় শালিক, চড়ুই, ঘুঘু, কোকিল, বুলবুলি, টিয়া, ডাহুক নাম না জানা বিভিন্ন প্রজাতির পাখিদের আবাসস্থল ৭৫ একরের ছায়া নিবিড় সবুজ ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরাও পাখিদের কলকাকলি আর ছোটাছুটি উপভোগ করেন প্রাণ ভরে। অনেককে আবার খাবার দিতেও দেখা যায়। এ যেন পাখিদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গভীর ভালোবাসা। 

ভোর হলেই পাখিরা এসে হাজির হয় হলের আশেপাশের বিভিন্ন গাছে, হলের বারান্দায়, ছাদে কিংবা জানালার কার্নিশে। মধুর কণ্ঠে কিচিরমিচির করতে থাকে আপনমনে। ডাল থেকে ডালে ঘুরে করে নাচানাচি। কেউবা আবার নিজেদের মধ্যে করে চলে খুনশুটি। খড়কুটো দিয়ে পাখিদের বাসা বাঁধার দৃশ্যও চোখে পড়ে। পূর্ব আকাশে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় পাখিদের কলতান। পাখিদের সুললিত কিচিরমিচির ডাকে ঘুম ভাঙে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের।

দৈনন্দিন পাখির কলতানে মুখরিত করে রাখে চারপাশ। সচরাচর যেসব পাখি দেখতে পাওয়া যায় না, সেসব দুর্লভ প্রজাতির পাখিও রয়েছে এই ক্যাম্পাসে। বিভিন্ন ছোটো-বড় গাছে রয়েছে এসব পাখিদের বসবাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বত্রই রয়েছে পাখিদের অবাধ বিচরণ। 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের ২০৩ নম্বর রুমের শিক্ষার্থীর সাকিব বলেন, পাখির ডাক শুনে ঘুম ভাঙ্গা এটা আমার নিত্যদিনের অভ্যাস। পাখিদের কিচিরমিচির শুনতে ভালোই লাগে। আমাদের রুমে রয়েছে চড়ুই পাখির সংসার। কিছুদিন আগে তাদের বাচ্চা হয়েছে সারাক্ষণ তারা কিচিরমিচির করে। তাদের এই কিচিরমিচির ডাক শোনা এখন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। 

শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আবাসিক হলের শিক্ষার্থী আফরোজা আক্তার বলেন, আমাদের হলের আশেপাশে অনেক গাছ হওয়ায় পাখি বাসা বেঁধেছে। সকাল হলেই পাখিদের ডাক শোনা যায়। কিছু পাখি হলের মধ্যেও ঢুকে পড়ে। পাখির ডাক ভালোই লাগে। তবে কাক প্রতিদিন সকালে আমার জানালার কাছে উচ্চস্বরে শব্দ করে, এটি খুবই বিরক্ত লাগে। মাঝে মাঝে তাড়িয়ে দেই তবুও প্রতিদিন আসে।

শহিদ মুখতার ইলাহী হলের শিক্ষার্থী ইয়ামিন সরকার বলেন, ছোটবেলা থেকেই পাখি পছন্দ করতাম। পাখি ধরতে জঙ্গলেও যেতাম। বাবার কাছে আবদার করতাম, বাজার থেকে পাখি কিনে দিতে। পাখি পালনের শখ ছিল। এখন হল রুমের আশপাশে পাখি বাসা বাঁধে। ওদের মাঝেমধ্যে খাবার দিই। চেষ্টা করি, কেউ যেন ওদের বিরক্ত না করে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here