• শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৫ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

প্রাথমিকে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা জানুয়ারিতে

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, চলতি বছরের নভেম্বর মাসে শুরু হচ্ছে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা এবং ডিসেম্বরে হবে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এসব কারণে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য হল সংকট দেখা দিয়েছে। এছাড়া আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হবে এসএসসি পরীক্ষা। এসব কিছু বিবেচনায় পরীক্ষা নেয়ার জন্য জানুয়ারি মাসকেই বেছে নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ঢাকাটাইমসকে জানান, ‘আমরা চেয়েছিলাম ২০১৮ সালের মধ্যেই প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাটা শেষ করতে। কিন্তু হল সংকট পড়েছে। অক্টোবরে খালি পাইনি। নভেম্বর জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা। ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন। এসব কিছু বিবেচনায় আমরা জানুয়ারিকেই যুতসই হিসেবে মনে করছি। আশা করছি সব ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারিতেই এই পরীক্ষা নেয়া হবে।’

গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে আরো জানা গেছে, এবার পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে। রেকর্ডসংখ্যক প্রার্থীর আবেদনের কারণে জেলায় জেলায় কয়েকধাপে পরীক্ষা নেয়া হবে। এছাড়া ওএমআর ফরমসহ অন্যান্য দ্রব্যাদি কেনাকাটায় সরকারি ক্রয় আইন (পিপিআর) অনুসরণ করতে গিয়ে গতিও একটু কমে গেছে। তাছাড়া একসঙ্গে সারা দেশে পরীক্ষা নেয়া যাচ্ছে না। নভেম্বর মাসজুড়ে দুটি বড় পরীক্ষা আছে। তাই পরীক্ষা হল পাওয়া যাচ্ছে না। সবমিলিয়ে পরীক্ষা জানুয়ারিতে চলে যাচ্ছে। হল পাওয়া সাপেক্ষে ৩-৪টি করে জেলার পরীক্ষা একসঙ্গে নেয়া হবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২ হাজার শিক্ষক নিয়োগে গত ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। ১-৩০ আগস্ট অনলাইনে আবেদন নেয়া হয়। মোট ২৪ লাখ ১ হাজার ৫৯৭ জন আবেদন করেছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) কর্মকর্তারা বলছেন, এর আগে সর্বশেষ নিয়োগে প্রায় ১২ লাখ প্রার্থী আবেদন করেছিল। সে হিসাবে এবার প্রার্থী দ্বিগুণ।

ডিপিই কর্মকর্তারা আরও জানান, সর্বশেষ নিয়োগে সারা দেশে ৩ হাজার ৬৬২ কেন্দ্রে পরীক্ষা নেয়া হয়। এবার দ্বিগুণ প্রার্থী হওয়ায় কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। কিন্তু উপজেলা-জেলা পর্যায়ে এত কেন্দ্র পাওয়া কঠিন। এ কারণে উপজেলা সদরের কাছাকাছি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কেন্দ্র নির্বাচনের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকদের দেয়া হয়েছে। এখন জেলা প্রশাসকরা কেন্দ্র ঠিক করে দিলে দুই বা ততোধিক জেলায় একসঙ্গে পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয় ২০ সেট প্রশ্নপত্র তৈরি করবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, আগে এই নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরিসহ পরীক্ষা গ্রহণে নেতৃত্ব দিত ডিপিই। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে আরও কড়াকড়ি আনা এবং সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা আয়োজনে এবার প্রশ্ন নির্বাচন ও আসন বিন্যাস মন্ত্রণালয় থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হবে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে প্রণয়ন করা হবে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। ওএমআর ফরম ডিজাইন ও মূল্যায়ন, পরীক্ষার সময়সূচি, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ ও প্রকাশ এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের আসন বিন্যাসের পদ্ধতি উন্নয়ন বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এক প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবার তিন ধাপের পরীক্ষার মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করার চিন্তা ছিল-এমসিকিউ, লিখিত ও মৌখিক। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে আগের মতোই দুই স্তরের পরীক্ষায় নিয়োগ করা হবে। সে অনুযায়ী ৮০ নম্বরে এমসিকিউ পদ্ধতির লিখিত পরীক্ষার পর ২০ নম্বরে ভাইভা নেয়া হবে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here