• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

লাখ লাখ টাকায় চাকরিদান চুক্তি করতেন আবেদের ‘দোসর’ প্রিয়নাথ

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১২ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রশ্নফাঁসের নাটের গুরু আবেদ আলীর দোসর ঠাকুরগাঁওয়ের প্রিয়নাথ রায়৷ চাকরি দেওয়ার শর্তে একেকজনের সঙ্গে চুক্তি করতেন ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। পরীক্ষার আগেই প্রায় ৪৫০ জনকে প্রশ্নপত্র দিয়ে চাকরি পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেছেন প্রিয়নাথ। নিজের এলাকায় তেমন সম্পদ না থাকলেও দিনাজপুর ও ঢাকা খোঁজ পাওয়া গেছে তার বাড়ি-গাড়িসহ অঢেল সম্পত্তির।

এরই মধ্যে ধরা পড়েছেন প্রশ্নফাঁস চক্রের মূলহোতা আবেদ আলী। একইসঙ্গে ধরা পড়েছেন কয়েক দোসরও। এরমধ্যে অন্যতম একজন প্রিয়নাথ রায়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আবেদ আলী বলেছেন, প্রিয়নাথ রায় চাকরিপ্রার্থীদের তার কাছে পৌঁছে দিতেন। চুক্তি হতো ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকায়। অগ্রিম নেয়া হতো ২ থেকে ৫ লাখ টাকা। হতো সেই বিপুল অর্থের ভাগবাটোয়ারা। কে এই প্রিয়নাথ রায়?

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের রাইতু রায় ও রাজবালা দম্পতির সন্তান প্রিয়নাথ রায়। চার ভাইয়ের মধ্যে সবার বড়। অভাবের সংসারে বেড়ে ওঠা প্রিয়নাথ এসএসসি পরীক্ষার সময় হারান বাবাকে। এইচএসসির পরে বন বিভাগে চাকরি নেন। ডিগ্রি পাস করে সেনাবাহিনীর অডিটর পদে যোগ দেন। এরপরেই জড়িয়ে পড়েন প্রশ্নফাঁস চক্রের সঙ্গে। চাকরি দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলেন প্রিয়নাথ। জড়িয়েছেন মামলায়ও। মামলার পর থেকে তাকে গ্রামে আসতে দেখেননি প্রতিবেশীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব বলেন, তারা সবাই বাইরে থাকে। এখানে ওর মা ছাড়া কেউ থাকে না। শুধু শুনেছি চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিতেন প্রিয়নাথ। পুলিশও এসেছে অনেকবার। কিন্তু অনেকদিন ধরে বাড়িতে আসেননি প্রিয়নাথ। এখন শুনেছি এমন কর্মকাণ্ড।

গ্রামের বাড়িতে একা থাকেন তার মা। দুই সন্তান ও স্ত্রী থাকেন দিনাজপুরের বাড়িতে। অপকর্মে ছেলের জড়িয়ে পড়ায় পুত্রবধূকে দায়ী করলেন মা। তবে দোষী হলেও ছেলের মুক্তি চান তিনি৷

প্রিয়নাথের মা রাজবালা বলেন, আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে। তার বউয়ের পরামর্শে সে চলে। আমি আমার ছেলের মুক্তি চাই।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বিভিন্ন জেলায় রয়েছে প্রিয়নাথের নামে একাধিক মামলা। কিন্তু কয়েক বছর ধরে বাড়িতে আসেন না তিনি।

প্রসঙ্গত, সরকারি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে পিএসসির দুজন উপপরিচালক, একজন সহকারী পরিচালকসহ ১৭ জন গ্রেফতার হন। এরমধ্যে অন্যতম প্রিয়নাথ রায়।

Place your advertisement here
Place your advertisement here