• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

গ্যাটকো মামলা নিষ্পত্তির আদেশ ছয় মাসের মধ্যে

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

আলোচিত গ্যাটকো দুর্নীতি মামলাটি নিম্ন আদালতে ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে মামলাটি নিম্ন আদালতে চলতে আর বাধা থাকলো না।

এছাড়া বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াসহ এ মামলায় অন্যান্য আসামিদের নিম্ন আদালতে আত্নসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

রোববার মামলাটি বাতিলে দুই আসামির করা একটি আবেদন খারিজের আদেশ দেন বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের বেঞ্চ।

এতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। এছাড়া সৈয়দ গালিব আহমেদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও সৈয়দ তানভীর আহমেদের পক্ষে আইনজীবী আহসানুল করিম।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, রায়ে রুল খারিজ হয় ও স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ার রায় হয়। এতে দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত। সেই সঙ্গে নিম্ন আদালতকে ছয় মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশও দিয়েছেন আদালত। এর ফলে খালেদা জিয়ার গ্যাটকো মামলা নিম্ন আদালতে চলতে আর কোনো বাধা থাকলো না।

গ্লোবাল এগ্রোট্রেড (প্রা.) কোম্পানি লিমিটেড এর পরিচালক সৈয়দ গালিব আহমেদ ও পরিচালক সৈয়দ তানভীর আহমেদের মামলা বাতিলের আবেদন শুনানি গেল ১১ নভেম্বর শেষ হয়। এটি ১৮ নভেম্বর রায়ের জন্য অপেক্ষাধীন ছিলো। ওই দিন রায় না হলে রোববার রায়ের তারিখ নির্ধারিত হয়।

আগামী ১০ জানুয়ারি পুরান ঢাকার বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে চার্জ শুনানির জন্য মামলাটি ধার্য রয়েছে।

এর আগে জরুরি বিধিমালা সংযুক্ত এ মামলার অভিযোগপত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করে মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন করেন খালেদা জিয়া। আর এ রিট আবেদনের কারণে প্রায় ৮ বছর নিম্ন আদালতে মামলাটির বিচারিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল। রিট খারিজ করে উচ্চ আদালত ২০১৬ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে দুই মাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। পরে উচ্চ আদালতের নির্দেশে ওই বছরের ৫ এপ্রিল আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা জিয়া।

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে জোট সরকারের ৯ প্রাক্তন মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদুক।

মামলাটির ২৪ আসামির মধ্যে এরই মধ্যে ৫ জন মারা গেছেন। এরা হলেন- সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভুইয়া, বিএনপি নেতা এমকে আনোয়ার, প্রাক্তন মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী এবং খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রাহমান কোকো। ফলে মামলাটিতে বর্তমানে জীবিত আসামির সংখ্যা ১৯।

এই ১৯ জনের মধ্যে রয়েছেন- প্রাক্তন মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, এমকে আনোয়ার, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আলী, প্রাক্তন মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর, দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং একেএম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, প্রাক্তন নৌ সচিব জুলফিকার হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) প্রাক্তন সদস্য একে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লি. (গ্যাটকো) এর পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, প্রাক্তন মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রাক্তন জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here