• বৃহস্পতিবার ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৪ ১৪৩১

  • || ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

অর্থনীতির উন্নয়ন এলএনজির মূল্য নির্ধারণের আহ্বান

দৈনিক রংপুর

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

Find us in facebook

Find us in facebook

দেশীয় অর্থনীতির বিকাশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) মূল্য নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা।

শনিবার চেম্বার ভবনে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘এলএনজি মূল্য নির্ধারণ: ব্যবসা-বাণিজ্য ও শিল্পখাতে-এর প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় এ আহ্বান জানানো হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, গত ১০ বছরে বিশ্ববাজারে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে শতকরা ৬৩ শতাংশ। সেই সঙ্গে গ্যাসের দামও বেড়েছে প্রায় ১১৫ শতাংশ।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের উপর নির্ভরশীলতা ৯০ ভাগ এবং এক্ষেত্রে উৎসের বহুমুখীকরণ দাবী তোলেন তিনি।

আবুল কালাম জানান, প্রধানমন্ত্রী সার্ক অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে যৌথভাবে জলবিদ্যুৎ শক্তি ও সৌরশক্তি ব্যবহার লক্ষ্যে একটি ‘সার্ক সোলার গ্রিড’ স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন।

“এলএনজি আমদানির পর এর দাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে দেশের ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি না করার ব্যাপারে সরকার যত্নবান হবে”- আশ্বাস দেন তিনি।

ডিসিসিআই সভাপতি আবুল কাসেম খান বলেন, দেশের শিল্প-কারখানার জন্য যৌক্তিক মূল্যে জ্বালানি প্রাপ্তির বিষয়টি অনেক গুরত্বপূর্ণ। সম্প্রতি গ্যাস স্বল্পতার বিষয়টি উদ্বেগের। কেননা শিল্পখাতে এলএনজি আমদানির প্রভাব ৭২ থেকে ৯৩শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুৎ উৎপাদন খাতে ২০৬ শতাংশ এবং ক্যাপটিভ পাওয়ার খাতে ৬৬ শতাংশ।

এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশে জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সরকারকে মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান। এছাড়া স্থানীয় কয়লার উত্তোলন ও এর যথাযথ ব্যবহারেরও আহ্বান জানান।

এ সময় এলএনজির দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে পাশ্ববর্তী দেশসমূহের কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাদের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব করেন ডিসিসিআই সভাপতি।

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিদ্যুৎ বিভাগের প্রাক্তন সচিব ড. মোহাম্মদ ফওজুল কবির খান।

তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালের পর আমরা নতুন কোন গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করতে পারিনি, যার ফলে বর্তমানে যে পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে তা আগামী ৬-৭ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য বিকল্প জ্বালানি শক্তির সম্ভাবনার দিকে আমাদের যেতে হবে।

আলোচনায় অন্যান্যর মধ্যে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)’র সদস্য রহমান মুরশিদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লা এম আমজাদ হোসেন, বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফেকচারার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি মোঃ শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি জহিরুল হক চৌধুরী, বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস্ এসোসিয়েশনের পরিচালক প্রকৌশলী রাজিব হায়দার, বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফেকচার্স অ্যান্ড এক্সপোটার্স এসোসিয়েশনের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ডীন ড. এম শামসুল আলম এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম অংশগ্রহণ করেন।

মুক্ত আলোচনায় ডিসিসিআই প্রাক্তন সভাপতি হোসেন খালেদ, পরিচালক হুমায়ুন রশিদ, নূহের লতিফ খান, প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, প্রাক্ত সহ-সভাপতি এম আবু হোরায়রাহ, প্রাক্তন পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, ডিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির আহবায়ক এম এস সিদ্দিকী, সালমান করিম, বিকেএমইএ’র প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here