• রোববার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • ভাদ্র ২৪ ১৪৩১

  • || ০৩ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব আরো জোরদারের অঙ্গিকার

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ জুলাই ২০২৪  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার তার বেইজিং সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি ব্যাপক কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব প্রতিষ্ঠার পর চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব আরো জোরালো হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং-এর আমন্ত্রণে এই সফর দুই দেশের মধ্যে ‘সহযোগিতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের চমৎকার নবায়ন।’

শেখ হাসিনার সফরের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, জানুয়ারিতে তার নতুন মেয়াদ শুরু হওয়ার পর থেকে এবং এই চীন সফরের মধ্যে দিয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা ও বন্ধুত্ব ক্রমাগত উন্নতি করছে।

তিনি বলেন, (বাংলাদেশ-চীন) সহযোগিতা সর্বদা পারস্পরিক সুবিধা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং পারস্পরিক বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে গঠিত। যখন এই অঞ্চলের দেশগুলো উন্নতি করতে থাকে এবং ভাল করতে থাকে, তখন এটি আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সর্বদা একটি ইতিবাচক বিষয়।

রাজধানী ঢাকার সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের একজন বিশিষ্ট ফেলো মুস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক ‘আমাদের সংজ্ঞায়িত অংশীদারিত্বের একটি’।

কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৪৯ বছরে চীন ও বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সহযোগিতা অর্জন করেছে।

চীন টানা ১৩ বছর ধরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার এবং গত বছর পর্যন্ত, বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ মোট ৩.২ বিলিয়ন ডলার ছিল, যা চীনকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেবে স্থান দিয়েছে।

চীনা দূতাবাসের মতে, প্রায় ১০০০ চীনা কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করে। এ দেশের শ্রম বাজারে ৫ লাখ ৫০ হাজারের বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে আগ্রহী। তিনি বিশ্বাস করেন যে চীনা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দুই দেশের মধ্যে একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সহায়ক হবে।

২০১৬ সালে, বাংলাদেশ ছিল দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ যারা চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ-এ যোগ দেয়।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ-চীন-ভারত-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডোর, বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পেও আগ্রহী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক শাহাব এনাম খান বলেন, চীনা বিনিয়োগ থেকে শুধু বাংলাদেশই লাভবান হবে না, অন্যান্য আঞ্চলিক দেশগুলোও শেয়ার্ড ইকোনমিক ইফেক্ট এবং অবকাঠামোগত সংযোগ থেকে উপকৃত হবে।

শাহাব এনাম খান বলেন, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে ভূ-রাজনীতির মায়োপিক প্রিজমের মাধ্যমে দেখা উচিত নয়। বাংলাদেশের ১৭০ মিলিয়ন জনসংখ্যার উন্নয়ন এবং বৃদ্ধির প্রিজমের মাধ্যমে এটি দেখা উচিত।

তিনি বলেন, যারা চীনের ‘ঋণের ফাঁদে’ পড়ার জন্য বাংলাদেশের সমালোচনা করেন তাদের সামনে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির গতির চিত্র তুলে ধরতে হবে।

অভিন্ন অর্থনৈতিক ও বাজার স্বার্থের কারণে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বাড়তে থাকবে বলে মনে করেন শাহাব এনাম খান।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশের সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, পর্যটন খাতে চীনের কাছ থেকে আরো বিনিয়োগ আশা করছেন তিনি।

মে মাসে, এটিএবি ‘চীন পর্যটন দিবস’ এ একটি প্রচার অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজন করেছিল। আবদুস সালাম আরেফ আরো বলেন, বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সংখ্যক মানুষ চীন ভ্রমণে আগ্রহী হয়ে উঠছে।

হাসিনার সফরের সময়, দুই দেশ আগামী বছরকে ‘চীন-বাংলাদেশ জনগণের মধ্যে বিনিময়ের বছর’ হিসাবে মনোনীত করতে সম্মত হয়।

তিনি বলেন, উন্নত সংযোগ এবং আরো ব্যবসায়িক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে জনগণের মধ্যে আদান-প্রদান আরো বাড়বে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here