জুন পর্যন্ত থাকবে স্বস্তিদায়ক রিজার্ভ
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩
Find us in facebook
বাংলাদেশ ধীরে ধীরে বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব কাটিয়ে উঠছে। চলমান ডলার সংকট একটু একটু করে প্রশমিত হতে শুরু করেছে। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়সহ অর্থনীতির বেশ কিছু সূচক ইতিবাচক ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্যাংকগুলোতে নগদ টাকা ও ডলার সংকট এখনো আছে। এমন পরিস্থিতির মধ্যেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বলেছে। সে কারণে খুব হিসেব-নিকেশ করে ডলার খরচ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের একাধিক কর্মকর্তার দাবি, রিজার্ভ নিয়ে তারা কোনো দুশ্চিন্তা করছেন না। আগামী জুন পর্যন্ত যাতে রিজার্ভ স্বস্তিদায়ক থাকে সেভাবেই এখন ডলার খরচ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ধারণা অনুযায়ী আগামী জুন মাস নাগাদ রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হতে পারে সাড়ে ৭ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ ৫৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। এছাড়া জুন মাসে রেমিট্যান্স ৪ শতাংশ বেড়ে চলতি অর্থবছরে প্রবাসী আয় ২৩ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি হতে পারে। এই অর্থবছরে আমদানি ব্যয় ৮০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। তবে ডলার সংকটের সমাধান রাতারাতি হবে না।
যদিও বেশ কয়েক মাস ধরে কাঁচামাল আমদানির জন্য অনেকেই ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না। রপ্তানিকারকরা বলছেন, তৈরি পোশাক শিল্পের পাশাপাশি ইস্পাত, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, এমনকি ওষুধ প্রস্তুতকারকরাও কাঁচামালের জন্য এলসি খুলতে পারছেন না।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাংলাদেশে ডলার সংকটের অন্যতম কারণ হলো দেশের অতিরিক্ত আমদানি নির্ভরতা এবং স্থানীয় পর্যায়ে কাঁচামাল ও পণ্য উৎপাদন না হওয়া। এতে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। মূলত খাদ্যশস্য থেকে শুরু করে বাংলাদেশকে চিনি, ভোজ্য তেল, মসলা, পেট্রোলিয়াম পণ্য, সার, তুলা, সুতা, রাসায়নিক, শিল্পের যন্ত্রপাতি, সিমেন্ট ও ইস্পাত কারখানার কাঁচামালসহ প্রায় সব পণ্যই আমদানি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী দেশে এখন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। গত ৭ মার্চ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) কাছে আমদানির দায় হিসেবে রিজার্ভ থেকে ১০৫ কোটি ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। এর ফলে ১৫ মার্চ রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে। এ রিজার্ভ দিয়ে প্রায় চার মাসের (প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন হিসাবে) আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। যদিও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে হিসাব করলে রিজার্ভ এখন ২৩ বিলিয়নের কিছু বেশি। এই অবস্থার মধ্যেও আইএমএফের পূর্বাভাস বলেছে, আগামী অর্থবছর থেকে ধারাবাহিকভাবে রিজার্ভ বাড়বে। আর ২০২৬-২৭ অর্থবছর শেষে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৫০ বিলিয়ন ডলার বা ৫ হাজার কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে। অর্থনীতিবিদরাও বলছেন বৈশ্বিক বাস্তবতায় এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথেই আছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘আমি আশাবাদী ধীরে ধীরে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে। সামনে দুটি ঈদ আছে। কয়েক দিন পর শুরু হচ্ছে রমজান মাস। এই রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীরা বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন। রমজানের পর কোরবানির ঈদেও প্রবাসীরা বেশি করে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে থাকেন। পাশাপাশি রপ্তানিতেও ইতিবাচক ধারা অব্যাহত আছে। বিদেশি ঋণের বড় কিস্তি পরিশোধ যদি না থাকে, তাহলে জুন পর্যন্ত রিজার্ভ থাকবে স্বস্তিদায়ক।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের গবেষক ও অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেছেন ‘রেমিট্যান্স, রপ্তানি আয়সহ বাংলাদেশের অর্থনীতির অধিকাংশ সূচকই ইতিবাচক ধারায় রয়েছে। সবচেয়ে খুশির খবর হলো দীর্ঘ সময়ের অতিমারির পরও আমাদের উৎপাদনে কোনও সমস্যা হয়নি। এখন পর্যন্ত অর্থনীতির সব সেক্টরেই প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। তবে বৈশ্বিক সংকটের কারণে আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টে কিছুটা চাপ আছে। এই চাপ মূলত আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ার কারণে। আমদানি ব্যয় বেশি হওয়ার মূল কারণ আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বেড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুদহার বাড়ানোর কারণে বিশ্ব বাজার থেকে আমাদের বেশি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে। এতে ডলারের কিছুটা সংকট থাকলেও বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এখন পর্যন্ত যে রিজার্ভ আছে তা দিয়ে আগামী চার থেকে পাঁচ মাস চলা যাবে।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলেছে, নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থার কারণে আমদানি কমছে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে ৩ হাজার ৭০৭ কোটি ডলারের রপ্তানি আয় হয়েছে, যা প্রতি মাসে গড়ে ৪৬৩ কোটি ডলার। নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে গড়ে ৫২০ কোটি ডলার রপ্তানি হয়েছে। একই সময়ে বেড়েছে রেমিট্যান্স।
ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় বেড়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ কোটি ডলার বেশি। গত মাসে দেশে এসেছে ১৫৬ কোটি ডলার। আগের মাস জানুয়ারিতে এসেছিল ১৯৬ কোটি ডলার। ডিসেম্বরে এটি ছিল প্রায় ১৭০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) যাতে বৈধ পথে দেশে আসে-তা নিশ্চিত করতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে প্রবাসী আয়ে গতি বেড়েছে। সামনে রমজান ও দুটি ঈদ থাকায় রেমিট্যান্সের এই ধারা চলতি মার্চ ও এপ্রিলে অব্যাহত থাকবে বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সরবরাহ চেইন বিঘি্নত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্যমূল্যও বেড়ে যায়। ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের আমদানি বিল ৮২.৪৯ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে ঠেকে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেশি। যদিও চলতি অর্থবছরে আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। গত অর্থবছরে যেখানে মাসে গড়ে ৭ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল আসত, এ বছর তা কমে মাসে ৬ বিলিয়ন ডলার আসছে। আমদানি কমাতে শতভাগ পর্যন্ত এলসি মার্জিন, বিলাসীপণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপসহ বিভিন্ন উদ্যোগের মধ্যে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে আমদানি ব্যয় ২ দশমিক ১৫ শতাংশ কমে তিন হাজার ৮১৩ কোটি ডলারে নেমেছে। এসবকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। আর ব্যাংকারদের বক্তব্য হলো- কয়েক মাস আগে খোলা এলসিগুলোর বিপরীতে অর্থপ্রদানের বাধ্যবাধকতার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার ওপর এখনও চাপ আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন আগামী জুন পর্যন্ত বিদেশি ঋণের বিপরীতে বড় কোনও কিস্তি পরিশোধ নেই। ফলে আগামী মে মাস পর্যন্ত বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ধীরে ধীরে বাড়বে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের আশা, এপ্রিল শেষে রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন থেকে বেড়ে ৩২ বিলিয়নে দাঁড়াবে। তবে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে রিজার্ভ থেকে আকু পেমেন্ট বা এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) কাছে প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের মতো আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। এতে আগামী মে মাস পর্যন্ত রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন ডলারের ঘরেই থাকবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন যে অবস্থায় আছে মার্চ শেষে প্রায় সেই অবস্থাতেই থাকবে। এপ্রিলে একটু বাড়তে পারে। তবে মে মাসে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের কাছে আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। এ কারণে এখন রিজার্ভ একটু একটু বাড়লেও মে শেষে ৩২ বিলিয়ন ডলারের আশপাশেই থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন, এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য নেওয়া বিদেশি ঋণ পরিশোধ করার পাশাপাশি বাজার স্বাভাবিক রাখতে ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রি অব্যাহত থাকবে।
- রংপুরকে অচল করে দেওয়ার হুমকি জাতীয় পার্টির
- পার্বত্য চট্টগ্রামে হামলার সুষ্ঠু বিচারের দাবি
- বৈষম্যহীন নতুন সম্ভাবনার বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান
- অমিত শাহ’র বক্তব্যের কড়া প্রতিবাদ বাংলাদেশের
- কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু
- ছাত্র আন্দোলনে নিহত নয়নের দাফন সম্পন্ন
- রংপুরে আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা
- তোফাজ্জল হত্যায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে: ডিএমপি
- ১১ দফা দাবিতে কর্মবিরতিতে শ্রমিকরা, উৎপাদন বন্ধ
- গুলিতে মারা যাননি আবু সাঈদ, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর তথ্য
- জামিন পেলেন না মান্নান
- ২০২৫ সালে হজে যেতে পারবেন না যারা
- ব্যাটারদের সঙ্গে বোলারদের হারের দায় নিতে হবে: ফাহিম
- ইয়াশ রোহান আমার ক্রাশ: তটিনী
- নিউইয়র্কের পথে ড. ইউনূস
- গণঅভ্যুত্থানের পর শ্রীলংকা যেভাবে বামপন্থীদের হলো
- ভ্যাপসা গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী
- রংপুরে নতুন ডিআইজি, তিন জেলায় নতুন পুলিশ সুপার
- শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন দিশানায়েকে
- বাংলাদেশের সংস্কারে সহায়তা করবে জাতিসংঘ
- মেট্রোরেলে রেকর্ড: ১৮ দিনেই ছাড়ালো প্রথম ৬ মাসের আয়
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে
- ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
- সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গ্রেফতার
- আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম
- চাকরির বয়সসীমা ৩৫ গুজব বললেন: সিনিয়র সচিব
- বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
- ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ
- ভারতের সঙ্গে অতীতের নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ হয়ে গেছে
- চরে আটকে ছিল তরুণীর মরদেহ, মেহেদি রাঙা হাতে লেখা যে ‘কথা’
- বিতর্কিত সেই সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক গ্রেফতার
- সীমান্তে হত্যা বন্ধে সব দলকে একসুরে কথা বলতে হবে: আখতার হোসেন
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- এবার সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামে হত্যা মামলা
- রংপুরে শেখ হাসিনা-রেহানা-কাদেরসহ ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- রংপুরে বাসের ধাক্কায় ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
- পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকদের
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- ঢামেকে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের বৈঠকে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
- নামাজের সময়সূচি: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- রবিউল আওয়ালের ফজিলত ও আমল
- একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, বিএনপির দু`গ্রুপের সংঘর্ষ
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত
- ইউক্রেনের ‘বিজয় পরিকল্পনা’ প্রস্তুত, বলছেন জেলেনস্কি
- ঘর-বাড়ি হেফাজতের দোয়া
- ৯ অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস
- এক হাজার ২০৯ কোটি টাকার ঋণখেলাপি পলাতক রিপন
- আবু সাইদ হত্যায় দুই মামলা একসঙ্গে চলতে বাধা নেই
- ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল রংপুর
- নামাজের সময়সূচি: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং