• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

শিশুদের কল্যাণে আমরা যুগোপযোগী ‘জাতীয় শিশুনীতি’ প্রণয়ন করেছি

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাংলাদেশকে শিশুদের জন্য নিরাপদ আবাসভূমিতে পরিণত করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। শিশুদের কল্যাণে আমরা যুগোপযোগী ‘জাতীয় শিশুনীতি’ প্রণয়ন করেছি। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক দেওয়া হচ্ছে। শিশুদের জন্য জাতির পিতার জীবন ও কর্মভিত্তিক বই প্রকাশ এবং পাঠ্যবইয়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরা হচ্ছে।

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম  জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় শিশু দিবসে জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি মহান নেতার জীবন ও আদর্শ অনুসরণে এ দেশের শিশুদের যথাযোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য। আমাদের শিশুরাই হবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের সারথি। শিশুদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের ব্যক্তিত্ব গঠন, সৃজনশীলতার বিকাশ এবং আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তুলতে দলমত নির্বিশেষে আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাল্যকাল থেকেই ছিলেন নির্ভীক, দয়ালু এবং পরোপকারী। স্কুলে পড়ার সময়েই তার নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশ লাভ করতে থাকে। প্রখর স্মৃতিশক্তির অধিকারী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এই বিশ্ববরেণ্য নেতার সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের মূল লক্ষ্য ছিল- বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করা। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন বাংলার নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের শেষ আশ্রয়স্থল। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ এই বাঙালি বাংলা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাবে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ১সেই বছরের ১১ মার্চ বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতির দাবিতে ধর্মঘট পালনকালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত তিনি বারবার কারারুদ্ধ হন। কখনো জেলে থেকে, কখনোবা জেলের বাইরে থেকে তিনি ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারির ছাত্র-জনতার চূড়ান্ত আন্দোলনে কারান্তরীণ অবস্থায় দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৫৮ সালের আইয়ুব খানের সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ’৬২ সালের শিক্ষা কমিশনবিরোধী আন্দোলন, ’৬৬ সালের ছয় দফা, ’৬৮ সালের আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ’৭০ সালের নির্বাচন এবং ’৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়।

সরকার প্রধান বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অপরিসীম মমতা ছিল। তিনি বিশ্বাস করতেন- শিশুরাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, শিশুরাই তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। শিশুদের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে- এই ভাবনা থেকেই জাতিসংঘ শিশু সনদের ১৫ বছর আগে, ১৯৭৪ সালে তিনি শিশু আইন প্রণয়ন করেন। শিশু শিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। শিশুরা যেন সৃজনশীল ও মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, তিনি সব সময় সেটাই চাইতেন। এজন্য তার জন্মদিনকে শিশুদের জন্য উৎসর্গ করে ১৯৯৬ সালে ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।

আগামী দিনের কর্ণধার শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে তিনি বলেন, আসুন আমরা শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণে বর্তমানকে উৎসর্গ করি। সবাই মিলে জাতির পিতার স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক, ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ে তুলি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Place your advertisement here
Place your advertisement here