• সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ||

  • আশ্বিন ৮ ১৪৩১

  • || ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

Find us in facebook

বিএনপির অভ্যাস মিথ্যা বলা, দুর্নীতি ও লুটপাট করা: প্রধানমন্ত্রী

– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –

প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২৩  

Find us in facebook

Find us in facebook

আওয়ামী লীগ দেশকে ধ্বংস করেছে বলে মিথ্যাচার ছড়ানোর জন্য বিএনপি নেতাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিথ্যা বলা, দুর্নীতি ও লুটপাট করা তাদের অভ্যাস।

শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মহাসমাবেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শুনি, বিএনপির কোনো এক নেতা আছেন সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকেন। বাংলাদেশকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি।

তিনি ময়মনসিংহবাসীর উদ্দেশে প্রশ্ন করেন, ময়মনসিংহে একযোগে ১০৩টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন কি বাংলাদেশ ধ্বংসের নমূনা?

এর আগে সার্কিট হাউজ মাঠ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একযোগে প্রায় ৫৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ সমাপ্ত ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং প্রায় ২ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

এসব উন্নয়ন প্রকল্পকে স্বাধীনতার মাসে ময়মনসিংহবাসীর জন্য উপহার হিসেবে উল্লেখ করে বিভাগীয় শহর ময়মনসিংহে একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় করা হবে বলেও জানান তিনি।

‘মিথ্যা বলাটাই তাদের পেশা’ এমন অভিমত ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়া এতিমের অর্থ আত্মসাৎ এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামি। আর তার ছেলে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত। যেখানে তারেক ও এবং কোকোর দুর্নীতি আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে বেরিয়েছে। এখন দেশ থেকে ভেগে (পলাতক) আছে আর তার সরকারের করে দেওয়া ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে দূরে বসে রাজনীতিও করে। তার সরকারের দেওয়া বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ‘তারা কিছুই করেননি’ বলে অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আসলে লুটপাট, চুরি, দুর্নীতি এটাই তাদের স্বভাব। লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই এবং বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতি চ্যাম্পিয়ন করা এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে দেয় তারা।

তার সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ায় আর বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা কমিয়ে ফেলে, স্বাক্ষরতার হার কমিয়ে ফেলে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে তার সরকার ১৬শ’ মেগাওয়াট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়ে ৪ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট করেছিল। স্বাক্ষরতার হারকে ৬৫ ভাগে উন্নীত করেছিল যা পরবর্তী বিএনপি জামায়াত সরকার না বাড়িয়ে উল্টো কমিয়ে ফেলে। আজকে সেখান থেকে তার সরকার দেশকে টেনে তুলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং স্বাক্ষরতার হারও ৭৫ দশমিক ২ ভাগে উন্নীত করেছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন হ্রাসে চুরি ও দুর্নীতি এবং স্বাক্ষরতার হার কমানোর পেছনে বিএনপি নেতৃত্বের শিক্ষাগত যোগ্যতাকে দায়ী করেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, এই দেশ আমার বাবা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। কাজেই এ দেশের মানুষের ভাগ্য গড়ে তাদের দারিদ্র্যের হাত থেকে মুক্তি দিতে হবে। গৃহহীন মানুষকে ঘর দিতে হবে, শিক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। উন্নত জীবন দেওয়ার মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল প্রত্যেক ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এই স্বাধীনতাকে কোনোমতে ব্যর্থ হতে দেওয়া যায় না।

ময়মনসিংহ অঞ্চলে বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়কার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদি তৎপরতার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের থাকার সময় তাদের অত্যাচারে মানুষ অতিষ্ঠ ছিল। ময়মনসিংহে চারটি সিনেমা হলে বোমা হামলা হলো এবং অনেক মানুষ তাতে মৃত্যুবরণ করে। প্রতিনিয়ত সারাদেশে বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলা, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, দুর্নীতি, লুটপাটই ছিল বিএনপি-জামায়াতের কাজ।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতায় বসে উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দল (বিএনপি) গঠন করে। সেই দল তো কেবল সন্ত্রাস, লুটপাট, মানুষ হত্যা আর অত্যাচার-নির্যাতন করতে পারে। ওদের ক্ষমতায় থাকা মানেই হচ্ছে মানুষের ওপর নির্যাতন, শোষণ ও বঞ্চনা করা। আর আওয়ামী লীগ মানুষকে উপহার দেয় উন্নয়ন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। সেখানে যুব সমাজের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে। বিনা জামানতে যুব সমাজকে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যেন তারা অন্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে নিতে পারে। নিজেরা উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে।

Place your advertisement here
Place your advertisement here