৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ২৬ মার্চের ঘোষণায় যেমন স্বাধীন বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটেছিল, তেমনি বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চের ভাষণ দিয়ে বাঙালিত্বের আত্মপ্রকাশ হয়েছিল।

তিনি বলেন, অস্তিত্বের উৎস ধরে রাখতে বাঙালির বজ্রকণ্ঠ শাণিত করতে হবে।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক অনলাইনভিত্তিক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষ্যে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, বঙ্গবন্ধু গ্রাম-গঞ্জ ও তৃণমূলে বাঙালি জাতিকে একত্রিত করেছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাইকে বাঙালি হিসেবে একই পরিচয়ে পরিচিত করেছিলেন। বর্তমানে স্বাধীনতাবিরোধী এবং তাদের উত্তরসূরিরা দেশে ও দেশের বাইরে ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র করছে। তারা অনলাইনে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে। তাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান নিতে হবে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের নিউক্লিয়াস, তিনি (শেখ হাসিনা) আওয়ামী লীগের অস্তিত্ব। বঙ্গবন্ধু নির্মমভাবে খুন হওয়ার পর তাকে ঘিরেই ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ফিনিক্স পাখির মতো ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। আওয়ামী লীগের ভিত্তি হচ্ছে তৃণমূল কর্মীরা। যখনই কোনো দুঃসময় এসেছে, তৃণমূলকে ভর করে আওয়ামী লীগ টিকে রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সম্পদ ছিল সে সময়ের সাত কোটি মানুষ, এখন শেখ হাসিনার সম্পদ দেশের ১৭/১৮ কোটি সাধারণ জনগণ।

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বিদ্যমান অবস্থা, অতীতের শোষণ, করণীয়, সমাধানের পথ তুলে ধরেছেন। ১৮ মিনিটের ভাষণে বঙ্গবন্ধু একটি জাতির কষ্টের কথা তুলে ধরেছেন, জনগণের ম্যান্ডেটের কথা তুলে ধরেছেন, বাঙালির অত্যাচার-নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরেছেন, বাঙালির করণীয় তুলে ধরেছেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ)  ডেপুটি রেজিস্ট্রার ডা. হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভায় বজ্রকণ্ঠ-প্রেরণায় ৭ মার্চ নামক সংগঠনের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।