ডলার সরবরাহ বাড়ছে
– দৈনিক রংপুর নিউজ ডেস্ক –
প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩
Find us in facebook
রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় টানা তিন মাস ধরে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ বাড়ছে। গত বছরের ডিসেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে বৈদেশিক মুদ্রার সরবরাহ এক শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে এলসি খোলার হার।
ফলে অস্থিতিশীল মুদ্রাবাজারে দিন দিন উন্নতি হচ্ছে। তবে সংকট এখনো কাটেনি। ব্যাংকাররা বলেছেন, রপ্তানি ও বৃদ্ধি এবং আমদানি কমার ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে ব্যাংকগুলোকে যেভাবে ডলার সরবরাহ বেড়েছে, তা বাজারের চলমান ডলার সংকটের উন্নতির জন্য যথেষ্ট নয়। কারণ ডলারের ধারণক্ষমতা যা বেড়েছে, তা মাত্র কয়েকটি ব্যাংকের কাছে। এখনো অনেক ব্যাংকের ডলারের সংকট রয়েছে। ফলে এসব ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর বেড়ে যায় জ্বালানি তেলের দাম। এর সঙ্গে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দামও বেড়ে যায়। ফলে গত বছরের এপ্রিলে দেশে যে পরিমাণ রপ্তানি ও প্রবাসী আয় হয়, আমদানি খরচ হয় তার চেয়ে প্রায় দুই বিলিয়ন ডলার বেশি। এতেই ডলারের সংকট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক ডলারের দাম আটকে রেখে সংকটকে আরও উসকে দেয়; পাশাপাশি সরকার জ্বালানি তেল ও খাদ্য আমদানি দায় মেটানোর জন্য রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে।
এমন পরিস্থিতিতে টাকার অবমূল্যায়ন করে ধীরে ধীরে ডলারের দাম বাড়ানো শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। আমদানি কমাতে কিছু পণ্যের ওপর ঋণ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছু পণ্য আমদানিতে শতভাগ মার্জিন দেওয়া হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও কিছু পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করে। ফলে ঋণপত্র খোলা কমে গেছে। তবে ডলারের সংকট পুরোপুরি না কাটলেও দিন দিন পরিস্থিতি উন্নতি হচ্ছে। এর মূল কারণ রপ্তানি ও রেমিটেন্স ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে, কমছে আমদানি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, নভেম্বর থেকে রপ্তানি ও রেমিটেন্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। নভেম্বরে ৫০৯ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ৫৩৭ কোটি ডলার, চলতি জানুয়ারিতে ৫১৩ কোটি ডলার ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৬৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) তিন হাজার ৭০৭ কোটি ৭৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেশি।
অন্যদিকে কমতে থাকা প্রবাসী আয় বাড়তে শুরু করে গত বছরের নভেম্বর মাসে। ওই মাসে ১৫৫ কোটি ডলারের রেমিটেন্স আসে। ডিসেম্বর ১৬৮ কোটি ডলার ও জানুয়ারিতে আসে ১৯৫ কোটি ডলার। ফেব্রুয়ারিতে কিছুটা কমে রেমিটেন্স আসে ১৫৬ কোটি ডলার। এছাড়া চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে নতুন এলসি খোলা ২৫ শতাংশ কমেছে। ফলে ভোগ্যপণ্য, মূলধনি যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যবর্তী পণ্য, পেট্রোলিয়ামসহ বিভিন্ন পণ্যে আমদানির প্রভাব পড়েছে। এসব পণ্য আমদানি কম হওয়ায় জিনিসপত্রের দাম অনেক বেড়ে গেছে। সাত মাসে নতুন এলসি খোলা হয় তিন হাজার ৯৪৬ কোটি ডলার, যা গত অর্থবছরের একই সময় ছিল পাঁচ হাজার ২৪৭ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় গত ডিসেম্বরে ৪৭৯ কোটি ডলার ছিল। জানুয়ারিতে বেড়ে ৪৮৪ কোটি ডলারে উন্নতি হয়েছে।
অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোতে ১ দশমিক ১১ শতাংশ ডলার ধারণ ক্ষমতা বেড়েছে। বিদেশের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশী ব্যাংকগুলোর নস্ট্রো অ্যাকাউন্ট ও ব্যাংকগুলোর বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে রক্ষিত বৈদেশিক মুদ্রা (এফসি) হিসাবে এ ডলার জমা থাকে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক বলেন, রপ্তানি ও রেমিটেন্স বাড়ার ফলে বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, যা ব্যাংকগুলোর ডলার ধারণ পরিস্থিতি দেখলে বোঝা যায়। এজন্য এখন এলসি খোলা বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক এলসি খোলার সংকট না থাকার কথা বললেও ব্যবসায়ীরা এখনো কাক্সিক্ষত এলসি খুলতে না পারার কথা বলছেন। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের এক মতবিনিময় সভায় প্রতিনিধিরা জানান, বিভিন্ন পর্যায়ে ছোটাছুটির পরও এখনো তারা আশানুরূপভাবে এলসি খুলতে পারছেন না। এলসি খোলা গেলেও সময়মতো দায় নিষ্পত্তি না হওয়ায় পণ্য খালাসে দেরি হচ্ছে। এতে তাদের জরিমানা গুনতে হচ্ছে। যদিও পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানান তারা।
ডলার-সংকটের কারণে গত এপ্রিল থেকে নিয়মিতভাবে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে গত বুধবার পর্যন্ত ৯ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার বিক্রির ফলে রিজার্ভ কমে ৩২ দশমিক ৬০ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে। তবে যে পরিমাণ ঘাটতি ছিল, সেই পরিমাণ ডলার বিক্রি করেনি। ফলে ব্যাংকগুলো বেশি দাম দিয়ে বিদেশ থেকে প্রবাসী আয় আনতে শুরু করে। এতে ডলারের দাম হু-হু করে বেড়ে যায়। গত এপ্রিলে ডলারের দাম ছিল ৮৫ টাকা। এখন ব্যাংকগুলোয় সর্বোচ্চ ১০৭ টাকায় ডলার বিক্রি হচ্ছে। ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব দেয়া হয় ব্যাংকগুলোকে। অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) রপ্তানিতে ডলারের দাম এখন ১০৩ টাকা এবং প্রবাসী আয় ১০৭ টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেন, যেসব ব্যাংকে ডলারের বড় অংশ রয়েছে, তারা অন্য ব্যাংককে ডলার দিতে নারাজ। ফলে আন্তঃব্যাংক বৈদেশিক মুদ্রার বাজার অকার্যকর হয়ে পড়ে। পরিস্থিতির আরও উন্নতি ছাড়া আন্তঃব্যাংক লেনদেন কার্যকর করা সম্ভব হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে ব্যাংকগুলোর কাছে ৪৮৮ কোটি ডলার ছিল। আগস্টে ৫০১ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বর ৪৯০ কোটি ডলার, অক্টোবরে ৪৫০ কোটি ডলার এবং নভেম্বরে ৪৭০ কোটি ডলার ছিল। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) যে পরিমাণ ডলার ধারণক্ষমতা ছিল ব্যাংকগুলোর কাছে, তা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ দশমিক ৫১ শতাংশ কম।
জানতে চাইলে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, ব্যাংকগুলোর আমদানির পেমেন্টের বড় একটা চাপ ছিল। এখন সে চাপটা কমে গেছে। এছাড়া রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয় বাড়ছে। তাই বৈদেশিক মুদ্রাবাজার পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোয় ডলার সরবরাহ পরিস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের পরিস্থিতি ভালো অবস্থানে যাবে।
- ভ্যাপসা গরমে বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী
- রংপুরে নতুন ডিআইজি, তিন জেলায় নতুন পুলিশ সুপার
- শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন দিশানায়েকে
- বাংলাদেশের সংস্কারে সহায়তা করবে জাতিসংঘ
- মেট্রোরেলে রেকর্ড: ১৮ দিনেই ছাড়ালো প্রথম ৬ মাসের আয়
- সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে
- ভারতে ইলিশ রফতানির সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
- সাবেক পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক গ্রেফতার
- আহত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা দিতে ঢাকায় চীনা মেডিকেল টিম
- চাকরির বয়সসীমা ৩৫ গুজব বললেন: সিনিয়র সচিব
- বাইডেন-মোদি বৈঠকে বাংলাদেশ নিয়ে আলোচনা
- ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ
- ভারতের সঙ্গে অতীতের নিষ্ক্রিয়তার দিন শেষ হয়ে গেছে
- চরে আটকে ছিল তরুণীর মরদেহ, মেহেদি রাঙা হাতে লেখা যে ‘কথা’
- রংপুরে মুফতি আমির হামজার মাহফিল
- শান্তদের শোচনীয় হার
- সাক্ষ্য দিতে আদালতে পরীমনি
- নামাজের সময়সূচি: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, স্বাভাবিক হচ্ছে রাঙ্গামাটি
- ৮৩ দিন পর ক্লাসে ঢাবি শিক্ষার্থীরা
- লেবাননে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে ইসরায়েলের ৪০০ হামলা
- সাবেক রেলমন্ত্রী সুজন ৫ দিনের রিমান্ডে
- জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক হচ্ছে ড. ইউনূসের
- রংপুরে বাসের ধাক্কায় ২ নির্মাণ শ্রমিক নিহত
- ঐক্যের বিকল্প নেই: ধর্ম উপদেষ্টা
- পাহাড়ে সহিংসতায় জড়িত কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আবারও সোনার ভরিতে রেকর্ড
- তৃতীয় পক্ষের ইন্ধন আছে কি না জানি না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- নিউইয়র্কে তৌহিদ-জয়শঙ্কর বৈঠকে উঠতে পারে যেসব বিষয়
- মণিপুরে মিয়ানমার থেকে ঢুকেছে ৯০০ সশস্ত্র যোদ্ধা, সতর্কতায় ভারত
- বিতর্কিত সেই সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দীন চৌধুরী মানিক গ্রেফতার
- সীমান্তে হত্যা বন্ধে সব দলকে একসুরে কথা বলতে হবে: আখতার হোসেন
- বিএনপির মিডিয়া সেল থেকে কাদের গনি চৌধুরীকে অব্যাহতি
- এবার সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর নামে হত্যা মামলা
- রংপুরে শেখ হাসিনা-রেহানা-কাদেরসহ ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা
- পূর্ণাঙ্গ উৎসব বোনাস ও বাড়ি ভাড়ার দাবি মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষকদের
- বৃষ্টি ও বন্যার সময় করণীয় আমল
- বিএনপিতে বহিষ্কার আতঙ্ক!
- একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান, বিএনপির দু`গ্রুপের সংঘর্ষ
- রবিউল আওয়ালের ফজিলত ও আমল
- ঘর-বাড়ি হেফাজতের দোয়া
- এক হাজার ২০৯ কোটি টাকার ঋণখেলাপি পলাতক রিপন
- আবু সাইদ হত্যায় দুই মামলা একসঙ্গে চলতে বাধা নেই
- সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ ৪ এমপির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
- প্রশাসনিক শূন্যতায় স্থবির বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
- রংপুরে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের কর্মবিরতি
- বঙ্গোপসাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, তিন বিভাগে ভারী বৃষ্টির আভাস
- জুমার দিনের দোয়া কবুলের বিশেষ মুহূর্ত
- চাঁদাবাজদের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নেই: মির্জা ফখরুল
- হঠাৎ লোডশেডিং বাড়ার কারণ জানা গেল