প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা দেশকে সম্মানিত করেছেন: ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী

যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, মেধাবী, অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়রা আমাদের গৌরব। তারা সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন সময় স্পেশাল অলিম্পিকে অংশ নিয়ে ২১৬টি স্বর্ণ, ১০৯টি রৌপ্য ও ৮৪টি ব্রোঞ্জ পদক অর্জন করে দেশকে সম্মানিত করেছেন। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্যারা আরচ্যারি বাংলাদেশের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্যারা আরচ্যারি বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এক নতুন দিগন্তের শুভ সূচনা হলো। এটি একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। নিঃসন্দেহে এ ইভেন্ট আমাদের মেধাবী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের জন্য একটি দারুণ সুযোগ এনে দেবে। তারা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সমর্থ হবে।

তিনি আরো বলেন, আমাদের প্রতিবন্ধী ক্রিকেট দল আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৮টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে সবকটিতেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। মুজিববর্ষে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু চারজাতি ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সর্বশেষ এসএ গেমসে বাংলাদেশ ১৯টি স্বর্ণপদকসহ ১৩৭টি পদক অর্জন করেছে। আরচ্যারিতে ১০-এ ১০ গোল্ড মেডেল অর্জনের মাধ্যমে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, সম্প্রতি ন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি অব বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ট্যারন্যাশনাল প্যারালিম্পিক কমিটি। ফলে বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী ক্রীড়াবিদরা এখন থেকে আন্তর্জাতিক সব খেলায় অংশ নিতে পারবেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিবন্ধীদের জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে প্রায় ১৪ কোটি ব্যয়ে ৪.১৬ একর জমিতে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হচ্ছে বলেও জানান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- যুব ও ক্রীড়া সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (ক্রীড়া) নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আরচ্যারি ফেডারেশনের সভাপতি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাইনুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল প্রমুখ।